Thursday, February 9, 2017

আসুন জেনে নেই, কোন জমি রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা খরচ হয়



ডেইলি সিলেট ডট কম :: প্রকাশিত হয়েছে : এপ্রিল ২১, ২০১৫ | ২:৫২

ডেইলি সিলেট ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলোঃ
লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।
রেজিস্ট্রেশনের সময় যে সকল কাগজপত্র প্রদান করতে হয়:
দলিল রেজিস্ট্রারিং অফিসার এ আইনে নতুন সংযোজিত ৫২এ ধারার বিধান অনুসারে বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সাথে নিচের কাগজগুলো সংযুক্ত থাকে:
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন।
প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐ সম্পত্তি পেয়ে থাকেন।
সম্পত্তির প্রকৃতি।
সম্পত্তির মূল্য।
চতুর্সীমা সহ সম্পত্তির নকশা।
বিগত ২৫ বৎসরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা (Affidavit) সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো নিকট বিক্রি করেননি এবং তিনিই দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক (He has Lawful Title)।


ছাড়াও প্রতিটি দলিল রেজিষ্ট্রির সময় ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে হলফনামা ও একটি নোটিশ সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত নোটিশে ১/= টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযুক্ত হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করতে হয় এবং ষ্ট্যাম্পের বাদবাকী মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান করে, চালানের কপি সংযুক্ত করতে হয়।




বায়নানামা দলিলের ফি
১. ৫০০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি নয়।
২. ১২৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়।
৩. ২৩৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি।
* হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের ফি
১. মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন (শরিয়ত) মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক ঘোষণা রেজিস্ট্রির জন্য সম্পত্তির মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিস্ট্রি ফি ৪৪০ টাকা।
২. যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তান, দাদা-দাদি (নানা-নানি) ও নাতি-নাতনি, সহোদর ভাইরা, সহোদর বোনরা এবং সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।
* বন্ধকি দলিলের ফি
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২-এর ধারা ৫৯ মোতাবেক বন্ধকি দলিলের প্রদেয় রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ-
১. ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ২০ লাখ টাকার কম হলে ১৩৪০ টাকা।
২. ২০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৩৪০ টাকা।
৩. ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৫০০০ টাকা।
* ঋণ বাবদ মঞ্জুরীকৃত টাকার ১ শতাংশ কিন্তু ২০০ টাকার কম নয় ও ৫০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ কিন্তু ১৫০০ টাকার কম নয় ও ২০০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক এক শূন্য শতাংশ কিন্তু ৩০০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার বেশি নয়।
* বণ্টননামা দলিলের ফিসের হার (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত)
১. ৫০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকা হলে।
২. ৭০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৩. ১২০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৪. ১৮০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৫. ২০০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে।
* শুধু দলিলের রেজিস্ট্রি ফি
যত টাকা মূল্যের দলিল রেজিস্ট্রি করা হোক না কেন তাতে শতকরা দুই টাকা হারে রেজিস্ট্রি ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।



কোন জমি রেজিস্ট্রি করতে কত টাকার দরকার?
02 Tuesday Jun 2015
Posted by amirulislaminfo in LAW ≈ Leave a comment
কোন জমি রেজিস্ট্রি করতে কত
টাকার দরকার?
১। বায়নানামা দলিলের ফিঃ
————————–
৫০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫
লক্ষ টাকার বেশী নয়।
১০০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৫০ লক্ষ
টাকার বেশী নয়।
২০০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫০
লক্ষ টাকার বেশী।
২। হেবার ঘোষনাপএ দলিলের ফিঃ
———————————
মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন(শরিয়ত)
মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো
স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক
ঘোষনা রেজিষ্ট্রির জন্য সম্পত্তির
মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিষ্ট্রি
ফি ১০০টাকা।
যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী,
পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা- দাদি
( নানা- নানি) ও নাতি- নাতনি,
সহোদর ভাইরা,সহোদর বোনরা এবং
সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।
৩। বন্ধকী দলিলের ফিঃ
———————–
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২ এর ধারা
৫৯ মোতাবেক বন্ধকী দলিলের
প্রদেয় রেজিষ্ট্রিশন ফি নিন্মরূপ—
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশী
নয়।
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশী
কিন্তু ২০ লক্ষ টাকার বেশী নয়।
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ২০ লক্ষ টাকার বেশী

* ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত টাকার ১% কিন্তু
২০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০ টাকার
বেশী নয়।
* মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.২৫% কিন্তু ১৫০০
টাকার কম নয় ২০০০ টাকার বেশী নয়।
* মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.১০% কিন্তু ৩০০০
টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার
বেশী নয়।
৪। বন্টননামা দলিলের ফিসের হারঃ
———————————
৫০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩
লক্ষ টাকা হলে।
৭০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ১০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
১২০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ১০
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৩০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
১৮০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩০
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৫০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
২০০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৫০
লক্ষ টাকার বেশী
রেজিস্ট্রি দলিলে আদায়যোগ্য
ফিস ও করাদির হার—
———————————————–
দলিলের মূল্য ৫০০০ টাকা পর্যন্ত
মূল্যের উপর ২৫ টাকা,কিন্তু ১০০
টাকার কম নয়।
৫০০০ টাকার বেশী মূল্যমানের জন্য
২.৫%হার|



আইন অধিকার
দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে...
তানজিম আল ইসলাম | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৭
২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে জমির যেকোনো হস্তান্তরযোগ্য দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, যে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক অথচ রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি, তখন সেই দলিল নিয়ে আপনি কোনো দাবি করতে পারবেন না। সাব-কবলা দলিল, হেবা বা দানপত্র, বন্ধকি দলিল, বায়না দলিল, বণ্টননামা দলিলসহ বিভিন্ন হস্তান্তর দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। দলিলের বিষয়বস্তু যে এলাকার এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।



দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে...
জমি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রি
জমি বিক্রির জন্য জমির বায়নানামা (বিক্রির চুক্তিপত্র) সম্পন্ন করা হলে তা রেজিস্ট্রি করতে হবে। জমির বায়নানামা সম্পাদনের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে বায়নাটি রেজিস্ট্রি করতে হবে। আর শর্ত অনুযায়ী বায়নার চুক্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করার সব পদ্ধতি মেনে সাব-কবলা দলিলটি সম্পাদিত হলে সম্পাদনের পর থেকে তিন মাসের মধ্যে সাব-কবলা দলিলটি রেজিস্ট্রি করাতে হবে। আইন অনুযায়ী, তিন মাস পার হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে আপিল করার সুযোগ আছে।

দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় সতর্কতা
কোনো দলিল আইনগত ও যথাযথ পদ্ধতিতে সম্পাদনের পর রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমেই জমির সব দলিল-দস্তাবেজ ও মালিকানা যাচাই করতে হবে। দলিলটি সম্পাদনের ক্ষেত্রে খসড়াটি ভালো করে যাচাই করতে হবে। দলিলে কোনো ভুল থাকলে ও রেজিস্ট্রি হলে এটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই করের মাত্রা কমানোর জন্য জমির দাম কম দেখানো হয়। এতে ভবিষ্যতে কিছু প্রতিকার পেতে ঝামেলা হয়। দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পরপরই নকল তুলতে হবে এবং এটি তুলে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে ভুলভ্রান্তি আছে কি না। দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় একটি রসিদ দেওয়া হয়। এই রসিদ মূল দলিল ওঠানোর সময় দেখাতে হয়। কোনো সম্পত্তির আংশিক এক জায়গায় এবং বাকি অংশ অন্য জায়গায় পড়লে বেশির ভাগ অংশ যে এলাকায় পড়বে, সেখানের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করতে হবে। কোনো বিশেষ কারণে দলিলদাতা বা গ্রহীতা অসুস্থ হলে সাব-রেজিস্ট্রারকে বাসায় নিয়েও রেজিস্ট্রি করা যায়। মনে রাখতে হবে, দলিল কার্যকর হয় দলিল সম্পাদনের তারিখ থেকেই, অর্থাৎ যে তারিখে দলিলটি সম্পন্ন করা হয়েছে, সেই তারিখ থেকে, দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ থেকে নয়। বাংলাদেশের বাইরে দলিল সম্পাদন করা হলে দলিলটি যেদিন বাংলাদেশে পৌঁছাবে, সেই তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করাতে হবে।


দলিল রেজিস্ট্রি ফি
বায়নাপত্র: সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি ৫০০ টাকা। পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে ফি এক হাজার টাকা। মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা।
বন্ধক দলিল: বন্ধকি অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি বন্ধকি অর্থের ১ শতাংশ এবং ২০০ টাকার নিচে ও ৫০০ টাকার বেশি নয়। অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার ওপরে কিন্তু ২০ লাখ টাকার নিচে হলে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে তা এক হাজার ৫০০ টাকার কম নয় এবং দুই হাজার টাকার বেশিনয়।
বন্ধকি অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ টাকার ওপরে হলে রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। তবে তা তিন হাজার টাকার কম নয় এবং পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।
হেবা ও দানপত্র: মুসলিম ধর্মের ক্ষেত্রে হেবানামা এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে দানপত্র যদি স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা-দাদি, নানা-নানি, নাতি-নাতনি ও সহোদর ভাইবোনের মধ্যে হয়, তাহলে রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা।
বণ্টননামা দলিল: সম্পত্তির মূল্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ৫০০ টাকা, তিন লাখ টাকার বেশি এবং ১০ লাখ টাকার কম হলে ৭০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ২০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ৮০০ টাকা এবং সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা ফি দিতে হহবে।



জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম, যা সবার জেনে রাখা দরকার

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জমি রেজিস্ট্রেশনের বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলো: লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না। বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না। রেজিস্ট্রেশনের সময় যে সকল কাগজপত্র প্রদান করতে হয়: দলিল রেজিস্ট্রারিং অফিসার এ আইনে নতুন সংযোজিত ৫২এ ধারার বিধান অনুসারে বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সাথে নিচের কাগজগুলো সংযুক্ত থাকে: রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন। প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐ সম্পত্তি পেয়ে থাকেন। সম্পত্তির প্রকৃতি। সম্পত্তির মূল্য। চতুর্সীমা সহ সম্পত্তির নকশা। বিগত ২৫ বৎসরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ। দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা (Affidavit) সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো নিকট বিক্রি করেননি এবং তিনিই


দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক (He has Lawful Title)। বিক্রয় বা সাফ কবলা দলিলের রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় নিম্নরূপ: ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে পৌর এলাকা ভুক্ত এলাকার জন্য: ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ৩.০%, সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০%, স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %, উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ২.০%, গেইন ট্যাক্স ( পৌর/ সিটি কর্পোরেসনে জমা দিতে হয়) ১.০ %, মোট = ৯.০%, পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত/ ইউনিয়ন পরিষদভুক্ত এলাকার জন্য: ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ২.০ %, সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০ %, স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %, উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ১.০ %, মোট = ৬.০%, এছাড়াও প্রতিটি দলিল রেজিষ্ট্রির সময় ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে হলফনামা ও একটি নোটিশ সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত নোটিশে ১/= টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযুক্ত হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করতে হয় এবং ষ্ট্যাম্পের বাদবাকী মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান করে, চালানের কপি সংযুক্ত করতে হয়। দলিলের সার্টিফাইড কপি উত্তোলনের ক্ষেত্রে সরকারী ফি নিম্নরূপ: ষ্ট্যাম্প বাবদ ২০ টাকা, কোর্ট ফি ৪ টাকা, মোট= ২৪ টাকা, লেখনী বাবদ দলিলের প্রতি ১০০ শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য বাংলার জন্য ৩ টাকা, প্রতি ১০০ ইংরেজী শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য ৫ টাকা, জরুরী নকলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা, উক্ত নকল চার পৃষ্ঠার বেশি হলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ৫ টাকা, দান দলিল রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম: রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন ২০০৪ এ নতুন সংযোজিত ৭৮এ ধারা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হয়। দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ: স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা-সন্তান, দাদা-দাদী ও নাতি-নাতনী, সহোদর ভাই-ভাই, সহোদর বো-বোন এবং সহোদর ভাই ও সহোদর বোনের মধ্যে যে কোনো স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা। উল্লিখিত সম্পর্কের বাইরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সম্পাদিত দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রির ফি হবে কবলা দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রযোজ্য ফি’র অনুরূপ। জীবন স্বত্ত্বে দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি: স্প্যাম্প এ্যাক্ট ১৯০৮ এর ৫৮ নং আর্টিক্যাল অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান (মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) এর জন্য জীবন স্বত্ত্বে দানের বিধান হলো – যে প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পত্তি দান করা হবে সে প্রতিষ্ঠান ঐ সম্পত্তি শুধু ভোগ-দখল করতে পারবে, সম্পত্তি কোনরূপ হস্তান্তর করতে পারবে না। এরূপ জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে দানকারীর নামে। কোন কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর না থাকলে সম্পত্তি দানকারীর মালিকানায় চলে যাবে এবং দান দলিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। স্ট্যাম্প ফি ২%, রেজিস্ট্রেশন ফি ২.৫%, ১লা নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদমাহমুদ



ভূমি রেজিস্ট্রেশন কেন ও কিভাবে ?
। ২১ মার্চ, ২০১৪ ২:০৭ অপরাহ্ণ
সামান্য অসর্তকতার কারণে আপনার কেনা মহামূল্যবান সম্পত্তিতে গলদ দেখা দিতে পারে। তাই জমি কেনার আগেই সবকিছু যাচাই-বাছাই করতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য আপনাকে অনেক বেশি মাশুল দিতে হবে। তাই জমি কেনার সময় সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে জেনে নিন ভূমি রেজিস্ট্রেশন কেন ও কিভাবে করতে হবে:

জমি বা সম্পত্তি নিবন্ধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তার জন্য জানা দরকার জমি রেজিস্ট্রেশন আইন। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে  ১৯০৮ সালের জমি রেজিস্ট্রেশন আইনের কিছু সংশোধনী আনা হয়,  যা ১ জুলাই ২০০৫ সাল থেকে কার্যকর হয়। উক্ত সংশোধনীর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-

১। আগে জমি বিক্রির কাজটি ছিল একপক্ষীয় অর্থাৎ শুধু বিক্রেতাই দলিল সম্পাদনের কাজ করতেন। এখন বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতাকেও সম্পাদনের কাজ করতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে দলিল করার সময় উভয়পক্ষকে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে এখন আর বিদেশে বসে কিংবা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলে-মেয়ের নামে জমি কেনা সম্ভব না।

২। সম্পত্তিটিতে বিক্রেতার উপযুক্ত মালিকানা রয়েছে কিনা, তা প্রমাণের জন্য সম্পত্তিটির পূর্ববর্তী বিক্রেতা বা মালিকের কাগজপত্রের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। এছাড়া সম্পত্তিতে যে বিক্রেতার আইনানুগ মালিকানা আছে এই মর্মে একটি হলফনামা জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় জমির বিক্রেতাকে দাখিল করতে হবে।

 ৩। সম্পত্তির ধরণ,সম্পত্তির দাম,সম্পত্তির মানচিত্র এবং আশপাশের সম্পত্তির বিবরণ ও আঁকানো ছবি দিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক।

 ৪। শেষ ২৫ বছর উক্ত সম্পত্তিটিতে কার কার মালিকানায় ছিল তার বিবরণ রেজিস্ট্রেশনের সময় দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

 ৫। ক্রেতা ও বিক্রেতার ছবির উপরে দুপক্ষেরই স্বাক্ষর এবং টিপসই দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর ফলে বেনামীতে আর কোনো সম্পত্তি কেনা-বেচা করা যাবে না।

 ৬। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হতে জমি ক্রয় করবে, এ মর্মে বায়নাপত্র করে থাকে , তাহলে সেই বায়নাপত্রটিও এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ৫০০ টাকা।

 ৭। জমির মূল্য ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে হলে রেজিস্টেশন ফি হবে ১ হাজার টাকা।

 ৮। জমির মূল্য যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ২ হাজার টাকা।

 ৯। যদি শরিয়া আইন অনুসারে স্বামী স্ত্রী,ভাই-বোন বা ছেলে মেয়েদেরকে কোন সম্পত্তি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সম্পত্তির মূল্য যাই হোক না কেন নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ১০০ টাকা।

১০। চলতি সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে সম্পত্তি কেনার চুক্তি সম্পাদনের ৩ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকত। কিন্তু বর্তমানে তা ১ বছর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য যে, উভয় পক্ষ যদি চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় চুক্তিতে উল্লেখ করেন, তাহলে সেটিই কার্যকর হবে। অন্যথায় না থাকলে ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে।

তবে উল্লেখ্য যে সমস্ত সম্পত্তি বিক্রির বায়না চুক্তি এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করা হয় নি, সেই ক্ষেত্রে এই আইন বলবৎ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য বিক্রির সব প্রমাণ উপস্থিত করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ের পর সেই সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।

যদি কোনো সম্পত্তি কোনো ব্যক্তির নিকট বন্ধক থাকে, তাহলে যার কাছে জমিটি বন্ধক আছে তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোথাও বন্ধক রাখা বা বিক্রয় করা যাবে না। বিক্রি করলে তা বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

অন্যান্য আইনকানুনঃ

ভূমি হস্তান্তরের দলিল স্ট্যাম্পের উপর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নির্দিষ্ট ফরমেট বা ছক অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। এই ছকে ক্রেতা-বিক্রেতার ছবি সংযোজনের নতুন বিধান রাখা হয়েছে।
তামাদি হওয়ার সময়সীমা

তামাদি হওয়ার সময়সীমা তিন বছর থেকে এক বছর করা হয়েছে। দলিল তৈরি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময়

দলিল তৈরি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মুসলিম পারিবারিক ধর্মীয় আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি মৌখিক দান বা হেবা দলিলও এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই দলিল হবে ঘোষণামূলক। এর জন্য ফি হবে মাত্র ১০০ টাকা।
হেবা বা দান কে কাকে করতে পারে:-

হেবার ক্ষেত্রে শুধু রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় তথা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে,পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে,ভাই-ভাই,বোন-বোন অথবা ভাই-বোন,দাদা-দাদী, নানা-নানী থেকে নাতি-নাতনী ও নাতি-নাতনী থেকে নানা-নানী সম্পর্কের মধ্যে হেবা দলিলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নামমাত্র ১০০ (একশত) টাকায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন:-

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে ওয়ারিশগণের মধ্যে সম্পত্তি বন্টন না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্টেশন করার প্রয়োজন নেই।
 সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন:-


আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রক্রয় দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বায়না চুক্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফি:-

এখন থেকে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বায়নার ক্ষেত্রে ৫(পাঁচ) লাখ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা,

৫ লাখ টাকার অধিক থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা,

৫০ লাখ টাকার অধিকমূল্য সম্পত্তির জন্য ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।

বায়না নামা রেজিস্ট্রেশন করা ছাড়া চুক্তি বলবৎ করতে আইনগত কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না। আবার বায়নার অবশিষ্ট টাকা জমা না করা হলে কোন মামলা মোকদ্দমা করা যাবে না। সম্পত্তি বিক্রয়ের বায়নানামা চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

তবে বায়নানামা রেজিস্ট্রেশন না করা চুক্তি কার্যকর বা বাতিল করতে হলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ৬ মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ৩ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

বিঃ দ্রঃ ভবিষ্যতে মামলা মোকদ্দমা থেকে পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্ব পুরুষদের আপসে সম্পত্তি বন্টনের দলিল রেজিস্ট্রেশন বার্ধতামূলক করার ফলে ওয়ারিশদের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। মাত্র ২০-(বিশ) টাকা মূল্যের স্ট্রাম্পে দলিল করে তা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং সর্বোচ্চ অংশ প্রাপ্ত অংশীদারের সম্পত্তির হিসাব থেকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণের অংশীদারদের ভাগে পাওয়া সম্পত্তির মূল্য মানের শতকরা আড়াই ভাগ টাকা সব অংশীদারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হবে।

• কবলা বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রি ফি

ক. স্ট্যাম্প শুল্ক ক্রয়মূল্যের…………………………………………………………………………৫%
খ. রেজিস্ট্রি ফি ১-২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয়মূল্যের জন্য টাকা…………………………………….৫০/-
গ. রেজিস্ট্রি ফি ২৫০১-৪০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয়মূল্যের জন্য ……………………………………..২%
ঘ. রেজিস্ট্রি ফি ৪০০১ হতে তদুর্ধ্ব বিক্রয়মূল্যের জন্য………………………………………………২.৫০%

ঙ.হলফনামা ফি টাকা………………………………………………………………………………৫০/-

চ. পৌরকর: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য………………………..১%
ছ. উৎস কর: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য……………………….৫%
জ. সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা বর্হিভূত জমি বিক্রির
ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কর (১%+১%)………………………………………….২%
ঝ. সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বর্হিভূত এলাকার ১ লাখ
টাকার অধিক মূল্যের অকৃষি জমি বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতার উৎস কর……………………………….৫%
ঞ. মওকুফ: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার বাইরের ১ লাখ টাকার নিচে অকৃষি জমি ও অন্যান্য কৃষি/ভিটি/নামা ইত্যাদি) জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পৌর কর ও উৎস কর দিতে হবে না। কিন্তু জমি বিক্রির মূল্য ১ লাখ টাকার বেশি হলে, জমিটি অকৃষি হলে সে জমি পৌর এলাকার বাইরে হলেও তার জন্য ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে……………………………………………………………….৫%

রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়। জমি রেজিস্ট্রি করতে বিক্রীত জমির পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে। দলিলে দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিক ছবি সংযুক্ত করতে হবে। যিনি জমি বিক্রি করবেন তার নামে অবশ্যই নামজারি (মিউটেশন) থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)। বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির ধারাবাহিক ইতিহাস লেখা থাকতে হবে। সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য, সম্পত্তির চারদিকের সীমানা,নকশা দলিলে থাকতে হবে। দাতা কর্তৃক বিক্রীত সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রি করেননি মর্মে হলফনামা থাকতে হবে। জমির পর্চাগুলোতে (সিএস,এসএ,আরএস) মালিকানার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। বায়া দলিল (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) থাকতে হবে।

বিভিন্ন প্রকার দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি, কর ও শুল্কঃ



March 12, 2016 - Category: রেজিস্ট্রেশন - Author: Md. Shahazahan Ali



সাব কবলা দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা, পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ২৩ ধারা মতে)।দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।



উৎস কর (৫৩ এইচ)ঃ (পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত সম্পত্তি না হলে) হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা, জেলা সদরের পৌরসভা ভুক্ত সম্পত্তি হলে, সম্পত্তির মোট মূল্যের ৩% টাকা, অন্যান্য পৌরসভা ভুক্ত সম্পত্তি হলে, হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ২% টাকা, সোনালী ব্যাংক লিঃ এ পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



বিঃদ্রঃ ১। আদালত কর্তৃক অগ্রক্রয় দলিলে ডিক্রি প্রাপ্ত হলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ত্ব (সংশোধনী)  আইন ২০০৬ এর ৯ (ই) ধারা মোতাবেক স্টাম্প শুল্ক ,কর ও ফি মওকুফ। তবে ই-ফি ও এন-ফি আদায়যোগ্য।

২। সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে অথবা সরকারের অনুকূলে সম্পাদিত কোন দলিলের স্টাম্পশুল্ক যদি সরকারকে দিতে হয়, তবে তা মওকুফ (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ধারা ৩) এবং স্টাম্প শুল্ক ধার্য না হলে সে দলিলে রেজিস্ট্রেশন ফিসও প্রযোজ্য হবে না [১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ধারা ৩(১)]।

৩। কর্পোরেশনাধীন বা জেলা সদরের পৌরসভাভুক্ত ১ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ক্রেতার TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক। যৌথনামে ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন অংশীদারের ১ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক। নাবালকের ক্ষেত্রে আইনগত অভিভাবকের TIN সনদ দাখিল করতে হবে। অনাবাসী বাংলাদেশীর ক্ষেত্রে TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।





হেবার ঘোষণাপত্র দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বি) নং অনুসারে।



স্টাম্প শুল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪ ধারা মতে)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে।

এই দলিলের মাধ্যমে আপন ভাই-বোন, পিতা/মাতা-ছেলে/মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, দাদা/দাদী-নাতী/নাতনী, নানা/নানী-নাতী/নাতনী এই কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বি) নং অনুসারে।





দানের ঘোষনাপত্র দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বিবি) নং অনুসারে।



স্টাম্প শুল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪ ধারা মতে)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে।

বিঃদ্রঃ ১। হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগনের ব্যক্তিগত আইন অনুসারে স্থাবর সম্পত্তির দান বিষয়ক ঘোষণা, যদি এইরূপ দান তাহাদের ব্যক্তিগত আইনে সমর্থন করে।

২।এই দলিলের মাধ্যমে আপন ভাই-বোন, পিতা/মাতা-ছেলে/মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, দাদা/দাদী-নাতী/নাতনী, নানা/নানী-নাতী/নাতনী এই কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বিবি) নং অনুসারে।





ঘোষণাপত্র দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্প শূল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪ নং ধারা অনুযায়ী)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা,  এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।





বন্টন নামা দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ (ক) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (১) অনসারে)।

(খ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ১০ লক্ষ টাকা হলে ৭০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (২) অনুসারে)।

(গ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩০ লক্ষ টাকা হলে ১২০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৩) অনুসারে)।

(ঘ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৫০ লক্ষ টাকা হলে ১৮০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৪) অনুসারে)।

(ঙ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার উর্ধে হলে ২০০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৫) অনুসারে)।



স্টাম্প শূল্কঃ ৫০ টাকা (স্টাম্প আইন ১৮৯৯ এর ৪৫ নম্বর ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে।

রেজিস্ট্রেশন ফিস, ই-ফিস এবং এন-ফিস সোনালী ব্যাংক লিঃ এ একত্রে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।



বিঃদ্রঃ ১। ওয়ারিশী স্হাবর সম্পত্তি ব্যতিত অন্যভাবে অর্জিত স্হাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বন্টন নামা দলিলের ক্ষেত্রে উৎস কর প্রযোজ্য।

২। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ বি, ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডীয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাঁর ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন।





বায়না পত্র (Contract for Sale) দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ (ক) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য অনুর্ধ ৫ লক্ষ টাকা হলে- ৫০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (অ) অনুসারে]

(খ) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য অনুর্ধ ৫০ লক্ষ টাকা হলে- ১০০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (আ) অনুসারে]

(গ) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার উর্ধে হলে- ২০০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (ই) অনুসারে]



স্টাম্প শূল্কঃ ৩০০ টাকা। [স্টাম্প আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুসারে]



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ২০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।

রেজিস্ট্রেশন ফিস, ই-ফিস এবং এন-ফিস সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।



বিঃদ্রঃ ১। রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭এ (২) ধারা অনুসারে, বায়নাপত্র সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করতে হবে।

২। বায়নাপত্র উভয়পক্ষ দ্বারা সম্পাদিত হবে। [রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭এ (১) অনুসারে]

৩। বায়নাপত্রের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে, যা বায়নাপত্র রেজিস্ট্রির তারিখ হতে কার্যকর। In a contract for sale of any immovable property,  a time, to be effected from the date of registration, shall be mentioned for execution and registration of the instrument of sale, and if no time is mentioned, six months shall be deemed to be the time. [Article 54A of The Transfer of Property Act 1882]

৪। সম্পত্তির দখল প্রদান করা হলে মোট মূল্যের উপর শূল্ক, ফি ও কর প্রযোজ্য।





বন্ধকী দলিল দলিল (ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্টানের অনুকূলে)ঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
(ক) ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার উর্ধে না হলে-ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত টাকার ১%, কিন্তু ২০০   টাকার কম নয় এবং ৫০০ টাকার বেশি নয় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (সি) (!) অনুসারে।

(খ) ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার উর্ধে কিন্তু ২০ লক্ষ টাকার উর্ধে না হলে-ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.২৫%, কিন্তু ১৫০০  টাকার কম নয় এবং ২০০০ টাকার বেশি নয় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (সি) (!!) অনুসারে।

(গ) ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমান ২০ লক্ষ টাকার উর্ধে হলে-ঋণ বাবদ মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.১০%, কিন্তু ৩০০০  টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার বেশি নয় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (সি) (!!!) অনুসারে।



স্টাম্প শূল্কঃ (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ৪০ (২) ধারা মতে)-

(ক) ঋণের পরিমান ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে- ২০০০ টাকা,

(খ) ঋণের পরিমান ২০ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ১ কোটি টাকার অধিক না হলে- ৫০০০ টাকা,

(গ) ঋণের পরিমান ১ কোটি টাকার উর্ধে হলে- প্রথম ১ কোটি টাকার জন্য ৫০০০ টাকা এর পরের অবশিষ্ট ঋণের জন্য ০.১০% হারে অতিরিক্ত শূল্ক।

দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।

এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে  লাগবে। রেজিস্ট্রেশন ফিস, এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



বিঃদ্রঃ ১। কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানি কর্তৃক ৫ লক্ষাধিক টাকা ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বন্ধকী দলিলের দাতার TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক।

২। গৃহনির্মাণ ঋণদান সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে স্টাম্পশুল্ক মওকুফ, তবে ফিস প্রযোজ্য।

৩। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানি কর্তৃক গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে স্টাম্পশুল্ক ও ফিস প্রযোজ্য।

৪। সরকারী কর্মচারীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণের বিপরীতে সম্পাদিত দলিলের স্টাম্পশুল্ক ও ফিস মওকুফ।





বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ ১০০ টাকা (এল ফিস)।



স্টাম্প শুল্কঃ ৫০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪৮ (এ) ধারা মতে)।





সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্ণিঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্পশূল্কঃ ১০০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪৮বি ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ ১। সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্ণির বলে কোন জমি বিক্রয়, বিক্রয় চুক্তি বা বায়না, মর্টগেজ বা বন্ধক, ভূমি উন্নয়ন করা যায় না। সুতরাং এ দলিলের মাধ্যমে এ সকল ক্ষমতা প্রদান করা যায় না।

২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পনে সীমাবদ্ধতাঃ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, এই বিধিমালার অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে না, যথা-

(১) উইল সম্পাদন, বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত উইল রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(২) দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন; বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(৩) দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পাদন;

(৪) ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন; এবং

(৫) সরকার কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ঘোষিত অন্য প্রকার দলিল বা কার্য সম্পাদন।





অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিলঃ (ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনূকুলে ঋণ গ্রহনের বিপরীতে)

রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্পশূল্কঃ ১০০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪৮ সি ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮, এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য।





অপ্রত্যাহার‍যোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণিঃ (পণমূল্য ব্যতিত)

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)



স্টাম্পশূল্কঃ ১০০০ টাকা ( স্টাম্প আইনের ৪৮ সিসি ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ ১। অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮, এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য।



২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পনে সীমাবদ্ধতাঃ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, এই বিধিমালার অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে না, যথা-

(১) উইল সম্পাদন, বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত উইল রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(২) দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন; বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(৩) দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পাদন;

(৪) ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন; এবং

(৫) সরকার কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ঘোষিত অন্য প্রকার দলিল বা কার্য সম্পাদন।





অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণিঃ (পণমূল্যের বিনিময়ে)

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)



স্টাম্পশূল্কঃ পণমূল্যের ৩% টাকা। তবে ৬০০০ টাকার নিম্নে এবং ৬০,০০০ টাকার উর্ধে হবে না (স্টাম্প আইনের ৪৮ডি ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা,  এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ ১। অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮, এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য।



২। পণমূলমূল্য হচ্ছে- কোন ভূমি উন্নয়নের নিমিত্ত অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার গ্রহিতা যে অংশ বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষমতা প্রাপ্ত হন উহার বাজার মূল্য এবং পাওয়ার দাতা কর্তৃক গৃহীত কোন অর্থ, যদি থাকে, যাহা দলিলের মূল্য হিসেবে গণ্য হয়।



৩। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পনে সীমাবদ্ধতাঃ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পুরনকল্পে, এই বিধিমালার অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন ক্ষমতা অর্পণ করা যাবে না, যথা-

(১) উইল সম্পাদন, বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত উইল রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(২) দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন; বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে দাখিলকরন;

(৩) দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পাদন;

(৪) ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন; এবং

(৫) সরকার কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, ঘোষিত অন্য প্রকার দলিল বা কার্য সম্পাদন।





দানপত্র দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা (স্টাম্প আইনের ৩৩ ধারা মোতাবেক)। দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



বিঃদ্রঃ নিবন্ধনকৃত ধর্মীয়, দাতব্য, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্টানের অনূকুলে যে কোন দানের ক্ষেত্রে স্হানিয় সরকার কর প্রযোজ্য নয়।





হেবাবিল এওয়াজ দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ৩% টাকা (স্টাম্প আইনের ৩৩ ধারা মোতাবেক)। দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ৩% টাকা।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।





এওয়াজ বা বিনিময় দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্পশূল্কঃ সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা (স্টাম্প আইনের ৩১ ধারা মোতাবেক)। দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।



উৎস কর (৫৩ এইচ)ঃ (পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত সম্পত্তি না হলে) হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ১% টাকা, জেলা সদরের পৌরসভা ভুক্ত সম্পত্তি হলে, সম্পত্তির মোট মূল্যের ৩% টাকা, অন্যান্য পৌরসভা ভুক্ত সম্পত্তি হলে, হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ২% টাকা, সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং ১.১১৪১.০০০০.০১১১ তে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে, সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদন পত্রে ১০ টাকার কোর্টফি লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



দু’টি সম্পত্তির মধ্যে বেশি মূল্যমানের সম্পত্তির উপর শুল্ক, কর ও ফি প্রযোজ্য।





চুক্তিপত্রঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ ১০০ টাকা (ই-ফিস)।



স্টাম্পশুল্কঃ বিনিময় বিলের বিক্রয় সংক্রান্ত; সরকারী জামানত বিক্রয় সংক্রান্ত; কোন সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি অথবা অন্য কোন বিধিবদ্ধ সংস্থাতে শেয়ার বিক্রয় সংক্রান্ত না হলে- ৩০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৫(সি) ধারা মতে)।



বিঃদ্রঃ চুক্তিপত্র স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হলে ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফিস ১০০ টাকা লাগবে ও এন ফিস ১৬০ টাকা লাগবে।





মুক্তিপত্র বা নাদাবীপত্র দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ  হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।



স্টাম্পশুল্কঃ দলিলে লিখিত দাবীর অর্থ বা মূল্য ২০০০ (দুই হাজার) টাকার অধিক না হলে ৫০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৫৫ (এ) ধারা অনুসারে)।  অন্য ক্ষেত্রে- ২০০ (দুইশত) টাকা (স্টাম্প আইনের ৫৫ (বি) ধারা অনুসারে।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।

এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।





অছিয়তনামা দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ (সি-ফিস) -২০০ টাকা।

এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ কোনো মুসলমান তার দাফন-কাফন ব্যয় ও দেনা পরিশোধের পর, উদ্বৃত্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের অধিক উইলমূলে হস্তান্তর করতে পারে না। উইলকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা সম্মতি না দিলে উইলের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশের অধিক পরিমাণ সম্পত্তি দান কার্যকর হবে না।





ভ্রম সংশোধন দলিলঃ

স্টাম্প শুল্কঃ ৩০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৫ নং ধারা মোতাবেক)।



রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা,  এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



বিঃদ্রঃ ১। স্টাম্প শুল্ক মওকুফের জন্য ১৬ ধারা মোতাবেক ২০ টাকার কোর্টফি সহ আবেদন করতে হবে। কবলা দলিল, বন্ধক দলিল এবং নিরুপন পত্র দলিল ব্যতিত অপর কোন দলিলের ক্ষেত্রে শূল্ক মওকুফ হবে না। স্টাম্পশূল্ক মওকুফের আবেদন করা না হলে মূল দলিলের ন্যায় স্টাম্পশুল্ক আদায়যোগ্য।

২। এ দলিলের মাধ্যমে মূল দলিলের মৌলিক কোন বিষয়বস্তুর পরিবর্তন হবে না।

৩। রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৭৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোন রেজিস্ট্রিকৃত বা রেজিস্ট্রেশনের জন্য গৃহীত দলিলে ভুল-ত্রুটি থাকলে এবং তা সংশোধনের জন্য কোন সম্পুরক দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য, উক্ত ভুল-ত্রুটি প্রমানের জন্য মূল দলিল বা অবিকল নকল সহ, দাখিল করা হলে, যে রেজিস্টার বহিতে মূল দলিলটি নকল করা হয়েছে তার মার্জিনে এইরূপ সংশোধনের বিষয়ে নিম্নবর্ণিত নমুনায় একটি টীকা লিখতে হবে: “এই দলিলটি………… কার্যালয়ের……… সনের……. নং দলিল মুলে সংশোধন করা হইয়াছে।”

রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৭৪ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে, যে রেজিস্টার বহিতে মূল দলিলটি নকল করা হয়েছে, তা যদি সদর রেকর্ড রুমে প্রেরিত হয়ে থাকে, তাহলে যে সাব-রেজিস্ট্রার ভ্রম সংশোধন দলিলটি রেজিস্ট্রি করেছেন, তিনি জেলা রেজিস্ট্রারকে তার নিজ স্বাক্ষরে সংশোধনী সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় টীকা যথাযথ রেজিস্টার বহিতে লেখার জন্য অনুরোধ করে পত্র লিখবেন।





বহালকরণ পত্রঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্পশূল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৪ ধারা মতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



স্টাম্পশূল্ক মওকুফের জন্য ১৬ ধারা মোতাবেক ২০ টাকার কোর্টফি সহ আবেদন করতে হবে। আবেদন করা না হলে মূল দলিলের ন্যায় স্টাম্পশুল্ক আদায়যোগ্য।





পুনঃসমর্পণ পত্র বা পুনঃহস্তান্তর পত্রঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্পশূল্কঃ ৩০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ৫৪ ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা,  এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।



গৃহনির্মাণ ঋণের বিপরীতে বন্ধককৃত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বরাবরে সরকার কর্তৃক পুনঃসমর্পণ দলিলে স্টাম্পশুল্ক ও ফি মওকুফ।





ট্রাস্টনামা দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ (ক) দলিলে লিখিত সম্পত্তির মূল্য ৪০০০ টাকার বেশি না হলে- ১০০ টাকা।



(খ) দলিলে লিখিত সম্পত্তির মূল্য ৪০০০ টাকার বেশি হলে- ২৫০০ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্পশুল্কঃ উইল বা ইচ্ছাপত্র ব্যতীত লিখিতভাবে কোন সম্পত্তির ট্রাস্ট ঘোষণা হলে- দলিলে সম্পত্তির প্রদর্শিত মূল্যের সমপরিমান অংক বা মূল্যের ২% টাকা (স্টাম্প আইনের ধারা ৬৪ (এ) অনুসারে)।



দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



স্হানিয় সরকার করঃ দলিলে লিখিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ৩% টাকা।



উৎস করঃ (সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা ভুক্ত সম্পত্তি না হলে)দলিলে প্রদর্শিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ১% টাকা।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।





ওয়াক্‌ফনামা দলিলঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ দলিলে লিখিত হস্তান্তরিত সম্পত্তির মোট মূল্যের ২% টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং  ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।



স্টাম্পশুল্কঃ পণ মূল্যের ২% টাকা।



দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১.১১০১.০০২০.১৩১১ তে জমা করতে হবে।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে। এন-ফিস ও ই-ফিস পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।

বিঃদ্রঃ ১। ওয়াকফ-ই-আওলাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কর প্রযোজ্য।

২। ওয়াকফ প্রশাসক বা সরকারের পুর্ব অনুমতি ব্যতিত ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না।

৩। The Waqfs Ordinance, 1962 এর ধারা- 56. (1) এ বলা হয়েছে, No transfer by a mutawalli of any immovable property of a waqf by way of sale, gift, mortgage or exchange, or by way of lease for a term of exceeding 5 years shall be valid without the previous sanction of the Administrator.



৪। The Waqfs Ordinance, 1962 (amendment in 2013) এর  57A (1) ধারায় বলা হয়েছে, “Notwithstanding anything contained to the contrary in the Registration Act, 1908; no sub-registrar shall register any deed of transfer of any immovable property belonging to waqf, without the previous sanction of the Administrator or the Government,  as the case may be.”







পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল রহিতকরণ পত্রঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্প শুল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ১৭ ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।





বায়নাপত্র দলিল রহিতকরণ পত্রঃ

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ১০০ টাকা (ই-ফি)।



স্টাম্প শুল্কঃ ২০০ টাকা (স্টাম্প আইনের ১৭ ধারা মোতাবেক)।



এছাড়া ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা,  এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে লাগবে।

Wednesday, February 8, 2017

জমি বিক্রয়ের এজেন্ট


জমি ক্রয়ের সুবর্ণ সুযোগ : দক্ষিণখান , আশকোনা , গাওয়াইর , মোল্লারটেক , কসাইবাড়ি , কাওলা , নদ্দাপাড়া ইত্যাদি এলাকাতে জমি বিক্রয়ের  তথ্য দিয়ে সাহায্য করে থাকি | আগ্রহী ক্রেতাগন দুই কাটা , আড়াই কাটা , তিন কাটা , সাড়ে তিন কাটা , চার কাটা , সাড়ে চার কাটা , পাঁচ কাটা , সাড়ে পাঁচ কাটা , ছয় কাটা , সাড়ে ছয় কাটা , সাত কাটা , সাড়ে সাত কাটা , আট কাটা , সাড়ে আট কাটা , নয় কাটা , সাড়ে নয় কাটা , দশ কাটা , এক বিঘা , দেড় বিঘা , দুই বিঘা জমি ক্রয় করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকলে যোগাযোগ করুন | যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার : 01928996397


জেনে নিন পর্চা, দাগ, খতিয়ান, জমা খারিজ, নামজারি, ও দলিল সম্পর্কে
By কর্পোরেট সংবাদ - 2017.01.303480
“পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে“পর্চা” বলে।
“নামজারী” কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
“জমা খারিজ”কাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।
“খতিয়ান” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।“খতিয়ান” প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান
“মৌজা” কাকে বলে?
যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।
“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।
“দাগ” নাম্বার কাকে বলে?
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে নাম্বার বলে। একেক নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।
“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি একত্র করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা বলে।
“আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
“খাজনা” ককে বলে? সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।
“দাখিলা” কাকে বলে?
ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।
DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।
“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
“নাল জমি” কাকে বলে?
২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।
“খাস জমি” কাকে বলে?
সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।
“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।
“ওয়াকফ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে
“মোতয়াল্লী” কাকে বলে? যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।
“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?
হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।
“ফারায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
“ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী। ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরণ করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
“সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন ওই জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
“পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
“দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।

Monday, February 6, 2017

রিহ্যাব




আজ সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ, ২৪ মাঘ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বিস্তারিত সংবাদ
যশোরে রিয়েল এস্টেটের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরের এহসান রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেডে ৪০ লাখ টাকা লগ্নি করে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কাজী মফিজুল হক বিপাকে পড়েছেন। তিনি প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন কর্মকর্তাদের পিছু পিছু ঘুরছেন। কিন্তু লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের যশোর শাখার ব্যবস্থাপক মাগুরার শিমুলিয়া গ্রামের আতাউল্লাহসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সাবেক পুুলিশ পরিদর্শক কাজী মফিজুল হকের গত মঙ্গলবার দায়েরকৃত মামলায় বলা হয়েছে, বিগত ২০১১ সালের ৩ জুলাই তিনি এহসান রিয়েল এস্টেটে হিসাব খোলেন। যার নম্বর-৭৬১। এ হিসাবে প্রথম ৫ লাখ, একই বছরের ১৩ অক্টোবর ২০ লাখ, ২০১২ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি ১৯১৬ নম্বর হিসাবে ১০ লাখ ও ২০১৩ সালের ৬ মে ৫ লাখ টাকা শহরের চুড়িপট্টিস্থ জেলা শাখার অফিসে উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রলোভনে পড়ে জমা দেন। তাকে বলা হয়, এ টাকা জমার বিপরীতে তাকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা দেয়া হবে। কিন্তু তা না দিয়ে তাকে ঘোরাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি টাকা ফেরত চাইলে কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে উক্ত টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপর অভিযুক্তরা হচ্ছেন, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার নবনিয়া গ্রামের জাকারিয়া, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আইয়ূব আলী, ঢাকা গুলশান এলাকার আবু তাহের, মাগুরার কাজী রবিউল ইসলাম, একই এলাকার জুনাইদ আলী, আজিজুর রহমান, মইন উদ্দিন, গোলাম রহমান, আব্দুল মতিন, আমিনুল হক, কলিম উল্লাহ কলি।





অর্থনীতি-ব্যবসা

আবাসন খাত হুমকিতে
অবিক্রীত পড়ে রয়েছে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট
1137 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে বর্তমানে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ৩০ ভাগ ছাড় দিয়েও এখন আর আগের মতো ক্রেতা টানতে পারছে না। প্রতিবছর আবাসন খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও অনেক কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার। ফলে আবাসন ব্যবসায় নেমে এসেছে ধস।

ঢাকা: রাজধানীতে বর্তমানে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ৩০ ভাগ ছাড় দিয়েও এখন আর আগের মতো ক্রেতা টানতে পারছে না। প্রতিবছর আবাসন খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও অনেক কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার। ফলে আবাসন ব্যবসায় নেমে এসেছে ধস।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই খাতের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে মধ্যবিত্তদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সংকট নিরসন হতে পারে। এতে মধ্যবিত্তরাও ফ্ল্যাট ক্রয়ে সক্ষম হতে পারেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আবাসন প্রকল্পে ক্রমবর্ধমান চড়া সুদ, ফ্ল্যাটের অসঙ্গতিপূর্ণ দাম, ক্রেতাদের আস্থাহীনতা, দেরিতে ফ্ল্যাট হস্তান্তর, চড়া নিবন্ধন ফি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, কালো টাকার অনুপ্রবেশ, একচেটিয়া ব্যবসা, অব্যবস্থাপনা এবং শেয়ারবাজারে ধসের কারণে এই নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, নামে-বেনামে গজিয়ে ওঠা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো গত ১৫ বছরে কমপক্ষে ১০ দফা ফ্ল্যাটের মূল্য বাড়িয়েছে। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে যেখানে প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হতো ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়, সেখানে ২০১০ সাল নাগাদ তা হয়েছে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনেক কোম্পানি তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছে।

অভিযোগ রয়েছে, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকর আইন না থাকায় নামে-বেনামে বেড়েই চলেছে এসব কোম্পানির সংখ্যা। আর তারাই নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ইচ্ছামতো ব্যবসা করছে। জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বেশিরভাগ রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিক্রি ৩০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমে গেছে।

ঢাকা নগরীতে কমপক্ষে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট বর্তমানে অবিক্রীত পড়ে আছে। এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বেশ কিছু প্রকল্প সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক দিকে ফ্ল্যাটের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা। অন্যদিকে নির্মাণাধীন বাড়িগুলো ক্রেতার কাছে হস্তান্তর নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

আবাসন খাতে দিন দিন কমে যাচ্ছে ঋণ লেনদেনের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৩-২০১৪ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, আবাসন খাতকে গত বছর জুন পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ৪৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আগের অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা এবং তারও আগের বছর ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ফলে ঋণ প্রবৃদ্ধি হার কমার সঙ্গে সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদনে রিয়েল এস্টেটের অবদান দিন দিন কমছে।

এ অবস্থায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে যাতে অবদান রাখতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে ফ্ল্যাটের মূল্য মধ্যবিত্তদের সামর্থ্যরে মধ্যে নিয়ে আসাটাই হবে ফলপ্রদ পদক্ষেপ।

এ ব্যাপারে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে বিভিন্ন কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হলেও বর্তমানে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ঋণ সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি নয়, সংকট সৃষ্টির জন্য চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিই দায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫




নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বেবি নাজনীন

প্রবাসে সময়
Update: 2015-08-30 01:35:34, Published: 2015-08-30 01:35:34


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন।

নিউইয়র্কের জ্যাকসনে শনিবার এক অনাড়ম্বর সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এক্সিট রিয়েলিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল সেলস এবং একই সাথে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আজহারুল হক এবং অন্যতম বিনিয়োগ পরিচালক জন ফাহিম উপস্থিত ছিলেন। ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত বেবি নাজনীন বলেন, সংগীতই তার সাধনা এবং শিল্পীই তার একমাত্র পরিচয়। তবে জীবনের বাস্তবতায় এক্সিট রিয়েলিটির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চান তিনি।তিনি।





অর্থ ও বাণিজ্য / নোট প্রত্যাহারে থমকে গেছে ভারতের রিয়েল এস্টেট খাত
নোট প্রত্যাহারে থমকে গেছে ভারতের রিয়েল এস্টেট খাত
in অর্থ ও বাণিজ্য

প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে শনিবার হচ্ছে ব্যস্ততার দিন। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন শহরতলিতে বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজতে ও কিনতে এদিন আগ্রহীদের ভিড় লেগে থাকে। ভারতের, বিশেষত মহারাষ্ট্রের বর্ধিষ্ণু মধ্যবিত্তের আগ্রহ ইদানীং মুম্বাইয়ের চারপাশের এলাকাগুলো ঘিরে। এদের অনেকে বসতি অথবা ব্যবসার একটা স্থায়ী ঠিকানার খোঁজে আসেন প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে।
গত শনিবারের কথা ভিন্ন। প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে এদিন কেউ আসেনি বললেই চলে। কোম্পানি মালিকের ভাই প্রতীক প্যাটেল জানালেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে তিনি কোনো অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেননি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে অ্যাপার্টমেন্ট-বাড়ি বিক্রি থমকে গেছে।
ভারতে রিয়েল এস্টেট খাতে লেনদেনের সিংহভাগ সম্পন্ন হয় নগদ অর্থে। জমি ও বাড়ি কেনাবেচায় কর ফাঁকি দিতে নগদ লেনদেনে জোর দেন সবাই। বাজার থেকে বড় ব্যাংক নোট উঠিয়ে নেয়ায় রিয়েল এস্টেট ক্রেতারা থেমে গেছেন। অনেকের ধারণা, ক্রেতারা যখন ফিরবেন, তখন রিয়েল এস্টেটের দামও কমবে।
প্রতীক প্যাটেল বলেন, ক্রেতারা এখন টেলিফোন করে দাম কমেছে কিনা জানতে চান। বড় নোট বাতিলের আগে প্রতি সপ্তাহে প্যাটেলস প্ল্যানেটের তিন-চারটি ইউনিট বিক্রি হতো। কিন্তু এক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক ওই ঘোষণার পর থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা।
রিয়েল এস্টেট খাতের বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্রপইকুইটি জানিয়েছে, আগামী বছর নাগাদ মুম্বাই ও গুরগাঁওয়ে আবাসন সম্পত্তির দাম ৩০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
উদীয়মান অনেক দেশের চেয়ে ভারতে নগদ লেনদেনের প্রচলন বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে তারল্য প্রবাহের ৮৬ শতাংশ ছিল ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট। এ দুটি নোট প্রত্যাহার ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত. বিক্রি কমে যাওয়ায় নগদ অর্থ আমদানি ও আয় থমকে গেছে। দ্বিতীয়ত. ঋণদাতা ও মহাজনের পাওনা পরিশোধে বেগ পেতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও তারা এমনকি ২২ শতাংশ সুদ হারেও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে লগ্নি করেছেন। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে যেকোনো মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। কম দামে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেই অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
প্রপইকুইটির প্রধান নির্বাহী সমীর জাসুজা বলেন, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো যারপরনাই চাপে রয়েছে।
বড় নোট প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তের পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেভেলপারদের শেয়ার মূল্য পড়তির দিকে রয়েছে। ডিএলএএর শেয়ার এ কয়দিনে ১৯ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে। একইভাবে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের শেয়ার ১৫ শতাংশ ও ইন্ডিয়াবুলস রিয়েল এস্টেটের শেয়ার ১৪ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে। তুলনামূলক বিচারে এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্সের সার্বিক সূচক নেমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
সারা ভারতের রিয়েল এস্টেট ব্রোকাররা এ খাতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন। মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও পুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ক্রেতা-অনুসন্ধান ও বিক্রি ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বেচাকেনা একদম থেমে গেছে। বেঙ্গালুরুতে বিক্রি চুক্তি নিষ্পন্নর হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বেশির ভাগ ক্রেতাই মূল্যহ্রাসের ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
দক্ষিণ ভারতের রিয়েল এস্টেট ব্রোকার দয়ানিধি জানান, সম্প্রতি তিনি তিনটি কেনাবেচা চুক্তির কাজ করছেন। তিনটি ভেস্তে গেছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক— দুটি বাজারেও ক্রেতা আগ্রহ শূন্যে নেমেছে।
তিন মাস আগে দয়ানিধি একটি অফিস ভবন বিক্রিতে মধ্যস্থতা করছিলেন। ভবনটি ১২ কোটি রুপি মূল্যে বিক্রির কথা ছিল। ক্রেতাপক্ষ ১০ লাখ রুপি অগ্রিমও দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরদিন সকালে দয়ানিধির টেলিফোন নম্বরে কল করেন ক্রেতা। উদ্দিষ্ট ভবনটির দাম ২০ শতাংশ কমানোর দাবি জানান তিনি। ক্রেতা পক্ষ ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। চুক্তিও ভেঙে পড়েছে।
রিয়েল এস্টেট বাজারে নগদ লেনদেনে ক্রেতারা বাড়তি একটি সুবিধা পেতেন। নগদ মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে তারা প্রায় ছাড় পেতেন। এ বাজারে ক্রেতাদের অনেকেই ব্যবসায়ী, চিকিত্সক বা অন্যান্য পেশাজীবী। তারা সচরাচর নগদ অর্থেই পণ্য অথবা সেবার মূল্য গ্রহণ করতেন, যাতে নিজেদের পুরো আয় ঘোষণা না করতে হয়। বাজার থেকে ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট প্রত্যাহারের আকস্মিক ঘোষণায় এরা এমনিতেই মুষড়ে পড়েছেন।
ভারত সরকার কালো টাকা ও দুর্নীতি দমনের উদ্দেশ্যে বড় নোটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এসব নোট ব্যাংকে জমা অথবা পাল্টে নিতে সরকার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এরই মধ্যে ১২ হাজার কোটি ডলারের সমমানের নোট ব্যাংকে জমা অথবা পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অনেক ভারতীয় নিজেদের অপ্রদর্শিত আয় নষ্ট হতে দেয়াকেই শ্রেয় মনে করবেন। অর্থলুপ্তির চেয়ে কর বিভাগের শ্যেনদৃষ্টিকেই তারা বেশি ভয় পান।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রিয়েল এস্টেট খাতে আস্থা এখন ভীষণ রকম নেতিবাচক। পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। রিয়েল এস্টেট খাতকে বাঁচাতে সুদ হার হ্রাস এবং বাড়ি কেনায় কর ছাড়ের মতো পদক্ষেপ কার্যকর হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা বলছেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নীতি ও বাজেট প্রণয়নে রিয়েল এস্টেট খাতের কথা মাথায় রাখতে হবে। কেননা, সম্পত্তি বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনাটাই এ মূহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ।
রিয়েল এস্টেটসহ নানা খাতের ব্যবসায়ীরা গতকাল বুধবার আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকের ফলাফলে দৃষ্টি রেখেছিলেন। কিন্তু আরবিআই গভর্নর উরজিত প্যাটেল ও তার দুই সহকর্মী ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদহার বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা হতাশ হন। ব্যবসায়ীদের এ হতাশার তাত্ক্ষণিক প্রতিফলন দেখা গেছে ভারতের শেয়ারবাজারে। মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর পর বিএসই সেনসেক্স সূচক ২০০ পয়েন্ট নেমে যায়। দিনের শুরুতে ডলারের বিপরীতে রুপির মান বাড়লেও বৈঠকের খবর প্রকাশের পরপর রুপি দুর্বল হতে থাকে। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ইকোনমিক টাইমস।






সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

শিরোনাম :
   
টঙ্গীর রিয়েল এস্টেট পরিচালক অপহৃত ১০ লাখ টাকা দাবি
ঢাকা (উত্তর) প্রতিনিধিপ্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০০:০০
অঅ-অ+
টঙ্গীর এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক কাজী রবিউল ইসলামকে অপহরণের চারদিন পার হলেও কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন (০১৭৪০৮৬৩৭৫৩) থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় উত্তরা ৯নং সেক্টর কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পরিচালক জুনায়েদ আলী, কর্মকর্তা আতাউল্লাহ, বাবর আলী, আবু হানিফ, রাজু, সেলিমূল আজম, আবদুল হক, মুফ্তি ফোরকান ও তার সহযোগীরা একের পর এক নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আত্মসাৎ ও ব্যাপক দুর্নীতি করে আসছে। এ নিয়ে পরিচালক রবিউল ইসলাম ও একই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের হিসেবে কাজী রবিউল ইসলাম গত মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে কাপ্তান বাজার এলাকায় পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে অপহরণ করে। এরপর বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। এ সংক্রান্ত ঘটনায় রিয়েল এস্টেটের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর সিকদার বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে থানার এসআই জানান, অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

রিহ্যাবের গুরুত্বপুর্ণ সংবাদ সমূহ




রিহ্যাব সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে

আবাসন খাতে গ্রাহক প্রতারণা বন্ধে এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ‘রিহ্যাব সদস্যবহির্ভূত’ প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিহ্যাবের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, চলতি বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ‘রিহ্যাব’ সদস্য ছাড়া কোনো হাউজিং প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসিএফ) নিবন্ধন ও নবায়ন এবং রেজিস্ট্রিসহ ট্রেড লাইসেন্স না দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে সংগঠনটি। পরে মতামত নেয়ার জন্য রাজউক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে রিহ্যাবের বাধ্যতামূলক সদস্য হওয়ার জন্য ইতিবাচক মতামত দিয়েছে রাজউক, গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়। এর ফলে রিহ্যাবের সদস্য ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো কোম্পানি নিবন্ধনের অনুমোদন পাবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। কারণ, রিহ্যাবের সদস্য ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলেও ব্যবস্থা নেয়া যায় না। বাধ্যতামূলক করা হলে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বেশ সুবিধা হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতামতে বলা হয়েছে, রিহ্যাবের কার্যক্রম এই মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় আবাসন শিল্পে নিয়োজিত সব ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মসগুলোর পরিদপ্তরে নিবন্ধন ও নবায়নের ক্ষেত্রে ‘রিহ্যাব সদস্যপদ’ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

আর রাজউকের মতামতে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় আবাসন ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে রাজউক হতে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রাজউক আওতাধীন এলাকায় কোনো রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও বিপণন কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এই আইনে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে রিহ্যাব সদস্য হওয়ায় বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সার্বিক বিবেচনায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে রিহ্যাবের সদস্যপদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা সংক্রন্তে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই।

জানা গেছে, আবাসন খাতের মর্যাদাবান সংগঠন রিহ্যাবের সদস্য নয় এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে রয়েছে জমি নিয়েও কাজ শুরু না করা, টাকা দেয়ার পরও ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করে উধাও হওয়া, এমন সব অভিযোগ আসছে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে। ফলে ইমেজ সংকটে পড়ছে রিহ্যাব।

এর প্রেক্ষিতে রিহ্যাব সদস্য ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধন ও নবায়ন, রেজিস্ট্রি এবং ট্রেড লাইসেন্স না দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পেশ করে রিহ্যাব।

এছাড়া ওই সব ভুয়া কোম্পানিগুলো ২ থেকে ৩টি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়ে গাঢাকা দেয়। তখন ক্রেতারা রিহ্যাবের কাছে আসে অভিযোগ নিয়ে। ক্রেতারা রিহ্যাবের কাছে অভিযোগ নিয়ে এলেও রিহ্যাব এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারে না। বাধ্য হয়ে এসব ক্রেতাকে আদালত অথবা নিকটস্থ থানায় প্রতারণা মামলা করতে হয়। যেটা রিহ্যাব মেম্বার হলে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিচারের আওতায় আনা হতো সহজেই। এজন্য নিবন্ধন বা ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সদস্যপদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা জরুরি বলে মনে করে রিহ্যাব।

রিহ্যাব সূত্র জানায়, ২০০৪ থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত শত কোটি টাকার বিনিয়োগের এ খাতে অভিযোগ রয়েছে প্রায় ১৪০০টি। যার মধ্যে রিহ্যাব কাস্টমার অ্যান্ড মেডিয়েশন সেলের মাধ্যমে সমাধানকৃত প্রায় ১৩৫০টি। বাকি অভিযোগগুলো বিচারাধীন। এর আগে ২০১৫ সালে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে ৮টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে রিহ্যাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।। রিহ্যাব গঠিত মেডিয়েশন সেলে একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে ১২ জন মেম্বার আছে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, অনেক কোম্পানি ক্রেতাদের ফ্ল্যাট, প্লট বুঝিয়ে দিতে পারে না। জনগণ যাতে তাদের প্রতারণার শিকার না হয় সেটা অবশ্যই দেখা হবে। কোম্পানিগুলো রিহ্যাব সদস্য হলে এটা হয়তো ঘটতো না।

সূত্রে জানা গেছে, রিহ্যাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১১৩৯টি। রিহ্যাব ছাড়া আরো প্রায় ২২০০ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রিহ্যাব সদস্যবহির্ভূত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ পরিলক্ষিত হওয়ায় এ সেক্টরের প্রতি জনসাধারণ আস্থা হারাচ্ছে। এ শিল্পটি যেহেতু সংকটকালীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, সেহেতু এ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে নিবন্ধন ও নবায়ন এবং ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে রিহ্যাব সদস্যপদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা জরুরি বলে জানায় রিহ্যাব নেতারা।

রিহ্যাবের ডিরেক্টর ও প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ বলেন, কিছু কোম্পানির কারণে এক লাখ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের এ খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই এসব কোম্পানির কারণে এ খাতের ইমেজ সংকট যেন না হয়। রিহ্যাব সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক করার যৌক্তিক দাবি আমরা জানিয়েছি মন্ত্রণালয়ে।

রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, সদস্য ছাড়া কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে আমরা এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারি না। কারণ, তারা রিহ্যাব মেম্বার না। আমরা চাই পোশাক শিল্পের মতো যারা আছে সবাই রিহ্যাবের সদস্য হোক। তাহলে ক্রেতাসাধারণ প্রতারণা থেকে মুক্তি পাবে। রিহ্যাবের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে আবাসন খাত খুব উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।



কালিয়াকৈরে জমি জালিয়াতির ঘটনায় আরও দুটি মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-১১-২০১২

« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের নিরীহ কৃষকের শত শত বিঘা জমি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার কালিয়াকৈর থানায় আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। জমি জালিয়াতির ঘটনায় এ নিয়ে কালিয়াকৈর থানায় ছয়টি মামলা করা হলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটাবহ ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের কৃষকের শত শত বিঘা জমি ফিয়াজ রিয়েল এস্টেটের মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও রাজ হাউজিং কোম্পানির মালিকসহ স্থানীয় ভূমিদস্যুরা মৃত এক ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ও জাল দলিলের মাধ্যমে ৫০০ বিঘা জমি হাতিয়ে নিয়েছে। ওই ঘটনায় কয়েক দিন আগে কালিয়াকৈর থানায় চারটি মামলা করা হয়।
সর্বশেষ গতকাল উপজেলার হিজলহাটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ওয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনকে ও মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় দুটি মামলা করেন।
মামলা হলে আসামি তমছের আলী, আবদুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিজেদের জমি রক্ষা ও ভূমিদস্যুদের প্রতিরোধে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের সচিব হাজী আলাউদ্দিন সিরাজী জানান, জমি জালিয়াতির মূল হোতা, মামলার প্রধান আসামি ওয়াহিদুর রহমান ও খান টিপু সোলতানকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়ুন কবীর জানান, জমি জালিয়াত চক্রের সদস্যরা এখনো জমি জালিয়াতি করে লিখে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।




নিজের কবর খুঁড়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি
November 18, 2016

মৃত্যুর পর পরিবারই সাধারণত শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে। তবে কানাডায় ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা।

জিম্মি কিখাম নামে এক ব্যক্তি নিজের কবর খুঁড়েছেন। পুরো গ্রীষ্মজুড়ে একটু একটু করে তিনি এই কবর খুঁড়েছেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার ৯০তম জন্মবার্ষিকী ছিল।
কবর খোঁড়ার অনুভূতি জানতে চাইলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমিই সম্ভবত কানাডাই প্রথম যে নিজেই নিজের কবর খুঁড়লাম। এই কাজে আমার পরিবারও আমাকে সহায়তা করেছে। আমি এতে গর্বিত।’
কিখাম একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। প্রায় ৬০ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় খোঁড়াখুঁড়ি কাজে বলা যায় তিনি একজন বিশেষজ্ঞও বটে।
‘আমি খুঁড়তে ভালোবসি। আমি সবসময়ই টাকার জন্য কাজ করে এসেছি। এটা দেখার বিষয় না যে, ওরা আমাকে কী খোঁড়াতে চায়।’ নিজের কর্ম সম্পর্কে সিবিসি নিউজকে এভাবেই বলছিলেন তিনি।
কবর খোঁড়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ভেবেছিলাম আমি যদি ৯০ বছর বেঁচে থাকি তবে আমি নিজের কবর খুঁড়ব।’
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, কিখাম যখন কবর খুঁড়ে তখন তার সাত সন্তানই সেসব দেখেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে পুরো পরিবারই তার সঙ্গে ছিল। তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় কবরস্থানে যেতেন, কিছুক্ষণ কবরে কাজ করে আবার ফিরে আসতেন।
কিখাম জানান, ‘এটা একদিক দিয়ে ভালো যে তার শেষকৃত্যের জন্য অন্য কাউকে ডাকতে হলো না। আমিই আমার কবর খুঁড়ে রাখলাম। আমি খুব খুশি যে আমার পরিবার এতে আপত্তি করেনি।’
কিখামের ছেলে জানায়, কবর খোঁড়ার পর এখন একটা পাতলা লেয়ার দিয়ে সেটাকে ঢেকে রেখেছেন কিখাম। এরপর একটা পাইন বক্স কবরের ফুটোতে রাখেন। যখন প্রয়োজন হবে, পাতলা লেয়ারটা সরিয়ে ফেলা হবে বলে তার বাবা পরিকল্পনা করেছেন। বাবার এই কাজটার সঙ্গে থাকতে পেরে তিনিও দারুণ উচ্ছসিত।
কিখাম এখনো কর্মক্ষম মানুষ। দ্রুত এই কবর প্রয়োজন হবে না বলেই ধারণা করছে তার পরিবার। ‘তবে অসময় তো বলে কয়ে আসে না’ বলেই হেসে উঠলেন কিখাম।





ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) এর পাশে ২টি রিয়েল এস্টেট ফার্ম, একটি ভিডিও ও টেলিভিশন সফটওয়্যার প্রোডাকশন হাউজ গড়ে তুলেছেন বিতর্কিত ইসলামি চিন্তাবিদ, বক্তা ও লেখক জাকির নায়েক। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তিনি মুম্বাইয়ে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।


কোম্পানির রেজিস্ট্রারের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রিয়েল এস্টেট ফার্ম দুটি হলো- লংলাস্ট কনস্ট্রাকশন ও রাইট প্রোপার্টি সল্যুশন।

তথ্য মতে, ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত এ দুই কোম্পানির প্রোমোটর কাম ডিরেক্টর পদে দায়িত্বে ছিলেন জাকির নায়েক ও তার স্ত্রী ফরহাদ জাকির নায়েক।

অর্থবছর ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে- অর্থাৎ গত ৭ বছরে আয় নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কোম্পানি দুটি। তবে এক প্রতিবেদনে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে বলে জানানো হয়।

এদিকে ভিডিও ও সফটওয়্যার প্রোডাকশন হাউজ- হারমনি মিডিয়া উল্লেখযোগ্য আয় করেছে বলে জানা গেছে।

খবরে বলা হয়, বিদেশ থেকে ইসলামিক রিসার্চে আসা অর্থ এখন তদন্ত করছে ভারত। এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, এনজিওভিত্তিক সংস্থাটি ২০১২ সাল পর্যন্ত গত ৪ বছরে ১৫ কোটি রুপি পেয়েছে। এসব অর্থ ব্রিটেন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে আসা।

২০০৮ সালে এক প্রতিবেদনে লংলাস্ট কনস্ট্রাকশন জানায়, সংশ্লিষ্ট পার্টি আর্শাদ ওয়াহেদনা, নায়নাহ নৌশাদ নুয়ারি (তথ্য অনুযায়ী, জাকির নায়েকের বাবার নাম আব্দুল করিম মোহাম্মদ নায়েক) এবং আমির আবদুল মান্নান গাজদার (কোম্পানি পরিচালক) থেকে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে।

কোম্পানির ব্যালেন্সশিট অনুযায়ী, ২০১০ সালের মার্চ শেষে কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে নেওয়া ঋণ দাঁড়ায় ২.৯ কোটি রুপি। ২০১৫ সালের মার্চ শেষে যা দাঁড়িয়েছিল ১৪.৮ কোটি রুপিতে। এর মধ্যে ওয়াহেদনা থেকে নেওয়া ১০.৮ কোটি রুপি। বাকি ৪ কোটি নেওয়া নুরানির কাছ থেকে।

২০০৮ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় রাইট প্রোপার্টি সল্যুশন। এর প্রোমোটর ছিলেন জাকির নায়েক, তার স্ত্রী ও বাবা। গত ৭ বছরে কোম্পানিটি রাজস্ব নিয়ে কোনো প্রতিবেদন দেখায়নি।

হারমনি মিডিয়ার সঙ্গে জাকির নায়েক সম্পৃক্ত হন ২০০৫ সালে। তিনি ২০০৬ সালের মে থেকে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সময়ে তার স্ত্রীকে পরিচালনা পর্ষদে রাখা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ জাকির নায়েক দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আর তার স্ত্রী দায়িত্ব ছেড়ে দেন ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ।




ওয়াক্‌ফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন, ২০১৩
( ২০১৩ সনের ৫ নং আইন )

ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তর ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণকল্পে বিশেষ বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তর ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণকল্পে বিশেষ বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন ওয়াক্‌ফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে, –

(১) ‘‘অধ্যাদেশ’’ অর্থ ওয়াক্‌ফ অধ্যাদেশ, ১৯৬২;

(২) ‘‘অধ্যাদেশের ধারা’’ অর্থ ওয়াক্‌ফ অধ্যাদেশ, ১৯৬২ এর ধারা;

(৩) ‘‘ডেভেলপার’’ অর্থ রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ২ (১৫) এ সংজ্ঞায়িত ডেভেলপার;

(৪) ‘‘দন্ডবিধি’’ অর্থ Penal Code, 1860;

(৫) ‘‘ধারা’’ অর্থ এই আইনের ধারা;

(৬) ‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের তফসিল;

(৭) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898;

(৮) ‘‘বিশেষ কমিটি’’ বা “কমিটি” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তর বিশেষ কমিটি বা কমিটি;

(৯) “মন্ত্রণালয়” অর্থ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়;

(১০) ‘‘রিয়েল এস্টেট’’ অর্থ রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ২(১২) এ সংজ্ঞায়িত রিয়েল এস্টেট; এবং

(১১) “সম্পত্তি” অর্থ সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর অধীন সংজ্ঞায়িত স্থাবর সম্পত্তি।

আইনের প্রাধান্য
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, বিধি, প্রবিধান, ওয়াক্‌ফ দলিল বা চুক্তিপত্রে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।

হস্তান্তর পদ্ধতি
৪। (১) এই আইনের অধীন নিম্নরূপ পদ্ধতিতে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাইবে, যথাঃ –

(ক) বিক্রয়ের মাধ্যমে;

(খ) দানের মাধ্যমে;

(গ) বন্ধকের মাধ্যমে;

(ঘ) বিনিময়ের মাধ্যমে ;

(ঙ) ইজারা প্রদানের মাধ্যমে; এবং

(চ) অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তরের মাধ্যমে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।

সম্পত্তি হস্তান্তরে সাধারণ সীমাবদ্ধতা
৫। (১) ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি কেবল সংশ্লিষ্ট ওয়াক্‌ফ কিংবা উক্ত ওয়াক্‌ফের স্বত্ত্বভোগীদের (beneficiary) প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে হস্তান্তর করা যাইবে; এবং অনুরূপ হস্তান্তর ওয়াক্‌ফের উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ হইতে হইবে।

(২) অধ্যাদেশ এর ধারা ২(৯) মতে ওয়াক্‌ফে আগন্তক (stranger) এমন কোনো ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং তাহার স্বার্থে বা প্রয়োজনে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাইবে না।

(৩) ওয়াক্‌ফ কিংবা উহার স্বত্ত্বভোগীদের (beneficiary) প্রয়োজন, কল্যাণ ও স্বার্থে অনিবার্যভাবে আবশ্যক বিবেচিত না হইলে, কোনো ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বিক্রয় বা চিরস্থায়ী ইজারামূলে হস্তান্তর করা যাইবে না।

(৪) এই আইনের অধীন হস্তান্তরের জন্য বিবেচ্য কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি, যদি ওয়াকিফ তাহার ওয়ারিশগণ, পরিবারের সদস্যগণ বা নির্ধারিত ব্যক্তিগণের উপকারার্থে করিয়া থাকেন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাইবে না।

হস্তান্তরলব্ধ অর্থ ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা
৬। ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট ওয়াক্‌ফ এর যেরূপ প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে হস্তান্তর করা হইবে, হস্তান্তরলব্ধ অর্থ কেবল অনুরূপ প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে ব্যবহার করিতে হইবে।

মোতাওয়াল্লী বা ওয়াক্‌ফ প্রশাসক কর্তৃক হস্তান্তর
৭। (১) অধ্যাদেশের ধারা ৩৪ এর অধীন ওয়াক্‌ফ প্রশাসক নিজ নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যতিরেকে অন্য সকল ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি কেবল সংশ্লিষ্ট মোতাওয়াল্লীর লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে, ওয়াক্‌ফের প্রয়োজন, কল্যাণ ও স্বার্থে এবং ওয়াক্‌ফের উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ৪ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে হস্তান্তর করা যাইবে।

(২) অধ্যাদেশের ধারা ৩৪ এর অধীন ওয়াক্‌ফ প্রশাসক নিজ নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি, ওয়াক্‌ফ প্রশাসকের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে, ওয়াক্‌ফের প্রয়োজন, কল্যাণ ও স্বার্থে এবং ওয়াক্‌ফের উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ৪ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে হস্তান্তর করা যাইবে।

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোতাওয়াল্লী বা ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, বিশেষ কমিটির সুপারিশ এবং সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বিক্রয়, দান বিনিময়, বন্ধক বা ০৫(পাঁচ) বছরের অধিক মেয়াদের জন্য ইজারা এবং অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করিতে পারিবেন না, উক্তরূপ সুপারিশ ও অনুমোদন ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা হইলে অনুরূপ হস্তান্তর অবৈধ ও অকার্যকর হইবে।

(৪) এই ধারার অধীনওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তরের লক্ষ্যে বিশেষ কমিটির সুপারিশ যুক্তিসংগত ও প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলেই কেবল সরকার অনুমোদন প্রদান করিবে।

(৫) এই ধারার অধীন ৫(পাঁচ) বছরের কম মেয়াদের জন্য ইজারামূলে হস্তান্তরিত সম্পত্তিতে কোনরূপ স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা যাইবে না।

হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে বিশেষ কমিটি
৮। (১) এই আইনের অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি গঠিত হইবে, যথাঃ-

(ক) ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, যিনি পদাধিকারবলে উহার সভাপতিও হইবেন;

(খ) সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলীয়া, ঢাকা এর অধ্যক্ষ বা তাহার মনোনীত উক্ত মাদ্রাসার একজন অধ্যাপক;

(গ) গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্তৃক মনোনীত উক্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা নির্বাহী প্রকৌশলী;

(ঘ) মহাপরিদর্শক নিবন্ধন কিংবা তৎকর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;

(ঙ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অনূর্ধ্ব উপ-সচিব পদমর্যাদার দুইজন কর্মকর্তা;

(চ) আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ছ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(জ) ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঝ) ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত উক্ত ফাউন্ডেশনের একজন মুফতি;

(ঞ) উপ-ধারা (২) অনুসারে নির্বাচিত ০৩(তিন) জন মোতাওয়াল্লী;

(ট) বাংলাদেশ মোতাওয়াল্লী সমিতির (যদি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত অনুরূপ কোন সমিতি থাকে) সভাপতি বা তাহার মনোনীত উক্ত সমিতির একজন প্রতিনিধি, অথবা মোতাওয়াল্লী সমিতি না থাকিলে ওয়াক্‌ফ প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত কোনো ওয়াক্‌ফ এর একজন মোতাওয়াল্লী;

(ঠ) ওয়াক্‌ফ প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত তাহার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা, যিনি কমিটির সদস্য- সচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করিবেন।

(২) ওয়াক্‌ফ প্রশাসনকে জাতীয়ভাবে পর পর সর্বশেষ তিন বছর গড়ে সর্বোচ্চ চাঁদা প্রদানকারী ২০ (বিশ) টি ওয়াক্‌ফের মোতাওয়াল্লীগণ যৌথভাবে তাঁহাদের পছন্দনীয় ০৩(তিন) জন মোতাওয়াল্লীকে বিশেষ কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচন করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত বিশেষ কমিটির মেয়াদ হইবে গঠিত হইবার তারিখ হইতে ৩(তিন) বছর, তবে নতুন কমিটি পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিশেষ কমিটি দায়িত্ব পালন করিয়া যাইবে।

(৪) বিশেষ কমিটির কোন সদস্য, উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে, কমিটির পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে, তাহার সদস্য পদ শূন্য হইবে।

(৫) বিশেষ কমিটির মেয়াদকালে কমিটির কোনো সদস্য পদ সাময়িক বা স্থায়ীভাবে শূন্য হইলে, উক্ত শূন্য পদ সাময়িক বা, ক্ষেত্রমত, অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থায়ীভাবে পূরণ করা যাইবে।

বিশেষ কমিটির কার্যাবলী ও ক্ষমতা
৯। (১) কোনো ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির বিক্রয়, দান, বন্ধক বিনিময়, ৫ (পাঁচ) বছরের অধিক মেয়াদের জন্য ইজারা প্রদান এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করিবার ক্ষেত্রে বিশেষ কমিটি এই আইন ও তদ্‌ধীন প্রণীত বিধি-বিধানের আলোকে সুপারিশ করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত যে কোন সুপারিশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।

(৩) বিশেষ কমিটির কোন সদস্য, ওয়াক্‌ফ প্রশাসক ব্যতীত, নিজেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য আবেদনকারী হইয়া থাকিলে, তিনি বিশেষ কমিটির সংশ্লিষ্ট সভায় অংশগ্রহণ পারিবেন না।

বিশেষ কমিটির সভা
১০। (১) অন্যূন ৯ (নয়) জন সদস্যের উপস্থিতিতে বিশেষ কমিটির সভার কোরাম হইবে।

(২) কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে; এবং মতামতের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

দানের মাধ্যমে হস্তান্তর
১১। (১) ধারা ৫ এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি অন্য কোন ওয়াক্‌ফ এস্টেট বা, মুনাফার ভিত্তিতে পরিচালিত নয়, এমন কোন ধর্মীয়, শিক্ষা বা জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানকে দান করা যাইবে।

(২) এই ধারার অধীন দান এর প্রস্তাব কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।

(৩) কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে এই ধারার অধীন কোন সম্পত্তি দান এর মাধ্যমে প্রদত্ত ও গৃহীত হইয়া থাকিলে উক্ত উদ্দেশ্য বহির্ভূত অন্য কোন উদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করা যাইবে না।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন সম্পত্তি নির্ধারিত উদ্দেশ্য বহির্ভূত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইলে, বা ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হইলে, ওয়াক্‌ফ প্রশাসক অধ্যাদেশ এর ধারা ৩৪ এর অধীন উক্ত সম্পত্তি নিজ নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিতে পারিবেন।

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর
১২। (১) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করা যাইবে।

(২) এই আইনের অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তর বিশেষ কমিটির সুপারিশ ও সরকারের অনুমোদনের ভিত্তিতে করিতে হইবে।

(৩) এই আইনের অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে রিয়েল এষ্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ১০ এর বিধান অনুযায়ী ভূমি-মালিক ও ডেভেলপার এর মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করিতে হইবে; এবং এতদুদ্দেশ্যে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত মোতাওয়াল্লী বা, ক্ষেত্রমত, ওয়াক্‌ফ প্রশাসক ভূমি-মালিক হিসাবে গণ্য হইবেন।

(৪) একজন ভূমি-মালিক নিজ ভূমির ক্ষেত্রে নিজ স্বার্থ রক্ষা করিয়া যেরূপ শর্তে ডেভেলপারের সহিত চুক্তি করেন, এই ধারার অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করিবার ক্ষেত্রে মোতাওয়াল্লী বা, ক্ষেত্রমত, ওয়াক্‌ফ প্রশাসক সেরূপ শর্তে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বা উহার স্বত্বভোগীদের (beneficiary) স্বার্থ রক্ষা করিয়া ডেভেলপারের সহিত চুক্তি সম্পাদন করিবেন।

(৫) এই ধারার অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তর করিবার ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে ওয়াক্‌ফ প্রশাসকের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকিবে এবং চুক্তিতে তাহা উল্লিখিত থাকিবে এবং সংশ্লিষ্ট চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সম্পত্তির উন্নয়ন হইতেছে কিনা এবং ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বা উহার স্বত্বভোগীদের (beneficiary) প্রয়োজন, কল্যাণ ও স্বার্থ যথাযথভাবে সংরক্ষিত হইতেছে কিনা ওয়াক্‌ফ প্রশাসক তাহা নিশ্চিত হইবেন ।

(৬) এই ধারার অধীন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের মাধ্যমে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে রিয়েল এষ্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর অন্যান্য বিধানাবলী, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে।

(৭) এই ধারার অধীন অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর কেবল তফসিলে বর্ণিত কোন এলাকায় অবস্থিত ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দরপত্র আহবানের বাধ্যবাধকতা

১৩। (১) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির বিক্রয় বা ৫(পাঁচ) বছরের অধীক মেয়াদের জন্য ইজারা প্রদান বা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তর করিবার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করিতে হইবে।

(২) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির বিক্রয় বা ৫(পাঁচ) বছরের অধীক মেয়াদের জন্য ইজারা প্রদানের প্রস্তাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইবার পর, হস্তান্তরের জন্য নির্ধারিত উক্ত সম্পত্তির স্থানীয় মূল্য, সরকার নির্ধারিত প্রচলিত বাজার দর অনুযায়ী ১০(দশ) লক্ষ টাকার অধিক হইলে, জাতীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উক্ত বিক্রয় বা ইজারা সম্পাদন করিতে হইবে, অন্যথায় স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহবান বা উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর সম্পাদন করা যাইবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৫ এর অধীন নিবন্ধিত রিয়েল এষ্টেট ডেভেলপারের মধ্য হইতে অন্যূন ১০ (দশ) এবং অনূর্ধ ১৫ (পনের) টি প্রাক-উপযুক্ত (prequalified) ডেভেলপারের একটি প্যানেল নির্বাচন করিয়া নির্ধারিত সময়ের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(৪) এই ধারার অধীন কোন দরপত্র বা নিলামে উদ্ধৃত বা প্রস্তাবিত দর যোগসাজসী বা অস্বাভাবিকভাবে কম প্রতীয়মান হইলে ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, বা ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ওয়াক্‌ফের স্বার্থে, উক্ত নিলাম বা দরপত্র বাতিল করিতে পারিবে।

উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের পদ্ধতি
১৪। ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে অর্থায়ন করা যাইবে, যথাঃ –

(ক) ওয়াক্‌ফ প্রশাসনের নিজস্ব তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ দ্বারা;

(খ) ওয়াক্‌ফের নিজস্ব তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে;

(গ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদানের মাধ্যমে;

(ঘ) ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে;

(ঙ) দোকানদার বা ভাড়াটিয়াদের নিকট হইতে জামানত বা সালামীর অর্থ অথবা অগ্রিম ভাড়ার টাকা গ্রহণের মাধ্যমে;

(চ) দোকানঘর, আবাসিক ফ্ল্যাট বা বাণিজ্যিক স্পেস এর পজেশন বিক্রয়ের মাধ্যমে;

(ছ) ডেভেলপারের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে; এবং

(জ) কোন বিদেশী রাষ্ট্র বা সংস্থার অর্থ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিনিয়োগের মাধ্যমে।

স্বীয় উদ্যোগে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির উন্নয়ন
১৫। কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য কোন রিয়েল এস্টট ডেভেলপার এ সাথে কোন চুক্তি না করিয়া, উহার নিজস্ব অর্থে বা অনুমোদিত কোন উৎস হইতে সংগৃহীত পুঁজি বা গৃহীত ঋণ লগ্নি করিয়া এবং ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির মালিকানা অক্ষুন্ন রাখিয়া উক্ত ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বা উহার অংশ উন্নয়ন করিলে এই আইনের কোন বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

ওয়াক্‌ফ প্রশাসকের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ
১৬। (১) ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট ওয়াক্‌ফের বা উহার স্বত্বভোগীদের (beneficiary) প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়াক্‌ফের উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ কিনা, এবং বিশেষ করিয়া কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হইতেছে কিনা ওয়াক্‌ফ প্রশাসক তাহা কঠোরভাবে পরিবীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করিবেন।

(২) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া ঋণ গ্রহণ করিবার ক্ষেত্রে বিশেষ কমিটি বন্ধক প্রস্তাব সুপারিশ করিবার পূর্বে কঠোরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করিয়া নিশ্চিত হইবে যে, গৃহিতব্য ঋণ সিডিউল অনুযায়ী পরিশোধ করা সম্ভব হইবে।

অপরাধ
১৭। (১) এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালন করিবার ক্ষেত্রে-

(ক) বিশেষ কমিটির কোন সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজে অবৈধভাবে লাভবান হইবার বা অন্য কাহাকেও অবৈধভাবে লাভবান করাইবার উদ্দেশ্যে কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বা উহার স্বত্ত্বভোগীদের (beneficiary) স্বার্থের পরিপন্থী কার্য করিয়া থাকিলে, বা

(খ) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত মোতাওয়াল্লী, রিসিভার বা সরকারী কর্মকর্তা এই আইনের অধীন বিশেষ কমিটির সুপারিশ ও সরকারের অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি হস্তান্তর করিলে, বা

(গ) কোন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তরলব্ধ অর্থ ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বা উহার স্বত্ত্বভোগীদের (beneficiary) যেরূপ প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে সম্পাদন করা হইয়াছে, অনুরূপ প্রয়োজনে, কল্যাণে ও স্বার্থে ব্যবহার না করিয়া ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিলে,

তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করিলে তিনি অনুর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

তদন্ত ও বিচার পদ্ধতি
১৮। এই আইনের অধীন তদন্ত, বিচার ও আপীল ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী হইবে।

অপরাধের অ-আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
১৯। ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
২০। (১) ওয়াক্‌ফ প্রশাসক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতিরেকে কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।

(২) সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ওয়াক্‌ফ প্রশাসক এর বিরুদ্ধে কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।

বার্ষিক প্রতিবেদন
২১। (১) ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, প্রতি ইংরেজী বৎসরে এই আইনের অধীন ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির হস্তান্তরের একটি পরিপূর্ণ প্রতিবেদন পরবর্তী ইংরেজী বৎসরের ৩১ মার্চ তারিখের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদনে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, হস্তান্তরিত সম্পত্তির বিবরণ ও পরিমাণ, হস্তান্তর মূল্য, হস্তান্তরের উদ্দেশ্য, হস্তান্তরের তারিখ, হস্তান্তরের সুপারিশ ও অনুমোদনের তারিখ, ইত্যাদি উল্লেখ থাকিবে।

অস্পষ্টতা দূরীকরণ
২২। এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অস্পষ্টতা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা দূর করিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

তফসিল সংশোধনের ক্ষমতা
২৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে।

আইনের ইংরেজি পাঠ
২৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।



রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর
« on: June 08, 2011, 12:45:23 PM »
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে নানা খবর

ফ্ল্যাটবাড়ি :ধরাছোঁয়ার বাইরে

সব মানুষের স্বপ্ন থাকে একটা সুন্দর বাড়ি। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে সবাই নিতে চায় একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। তাই তো ঢাকার বাইরের জেলা থেকে অভিবাসী হয়ে ঢাকায় আসা মানুষের স্বপ্ন থাকে একটি আধুনিক অনুষঙ্গের মনোরম ফ্ল্যাটের। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফ্ল্যাটের দাম। ফলে উচ্চবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্তরাই যেখানে ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, সেখানে মধ্যবিত্তের কথা বলাই বাহুল্য।

ঢাকার একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন বেলায়েত হোসেন। ঢাকায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন শুরু থেকেই। তিনি বলেন, পাখিরও একটি ঠিকানা আছে অথচ আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের সেই ঠিকানাটুকুও নেই। তিনি আরও বলেন, উপার্জনের সিংহভাগই চলে যায় বাড়িভাড়া আর পাঁচ সদস্যের পরিবারের খাদ্যের জোগান দিতে। তার মতে, ফ্ল্যাটের যে দাম বেড়েছে তাতে সারাজীবন সৎ পথে আয় করে কারও পক্ষে একটি ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার জন্য যে ব্যাংক লোন পাওয়া যায় তাতে যে পরিমাণ সুদ আরোপ করা হয় তা একটি ফ্ল্যাটের দ্বিগুণ দাম হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে , ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী আর ব্যাংক লাভবান হচ্ছে। গ্রাহকের কোনো লাভ হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর এলাকাভেদে গত ১০ বছরে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত। বারিধারায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ৪৫০০ থেকে ১১০০০, ধানমণ্ডিতে ৬৯০০ থেকে ৯০০০, মিরপুরে ৩৫০০ থেকে ৪৫০০, শান্তিনগরে ৪৪০০ থেকে ৬০০০, বসুন্ধরায় ৮০০০ থেকে ৯০০০, মোহাম্মদপুরে ৩০০০ থেকে ৫৫০০, গুলশানে ১০০০০ থেকে ১৫০০০, উত্তরায় ৩৮০০ থেকে ৫৯০০। ঢাকার বাইরেও ফ্ল্যাটের উচ্চ মূল্য লক্ষণীয়। এতে এলাকাভেদে ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম পড়বে ৪০ লাখ থেকে কোটির ওপরে। ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্পেস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার ওহাহিদুজ্জামান জানান, গত এক দশকে জমি এবং রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথর, রঙ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, গ্গ্নাস, পিভিসি পাইপ, টাইলস ও মোজাইকসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েছে। এ ছাড়াও ফ্ল্যাট নিবন্ধন ও ভূমি নিবন্ধনে খরচ বেড়ে যাওয়াকেও ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত এক দশকে জমির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০০ শতাংশ, ইটের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ, সিমেন্ট ৩০০ শতাংশ, রড ৩০০ শতাংশ। এ অবস্থায় সরকার এই শিল্পের দিকে সুনজর না দিলে আগামীতে ফ্ল্যাটের দাম আরও বেড়ে যাবে। ফলে মধ্যবিত্ত কেন, উচ্চ মধ্যবিত্তদেরও নিজের ফ্ল্যাটের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সব সময়ই স্থির আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ওপর তীব্রভাবে আঘাত করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে তাদের আয়ের সঙ্গতি না বাড়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান কমে যায়। ফলে তারা ন্যূনতম চাহিদা পূরণের দিকে নজর দেয়। সে ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট হয়ে ওঠে বিলাসিতা। অথচ বাসস্থান একটি মৌলিক চাহিদা। জমি বা ফ্ল্যাট মালিকরা বসে থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সুবিধা ভোগ করে। তবে সরকার ফ্ল্যাট বা জমির মূল্যবৃদ্ধির ওপর প্রতি চার বছর পরপর করারোপ করে সেই টাকা ফ্ল্যাট নির্মাণে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ভাবতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন উৎপাদনহীন ভূমি ব্যবসা অনুৎসাহীত হবে, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত মানুষের আবাসন সমস্যা কিছুটা সমাধান হতে পারে।






আন্তর্জাতিক
কোটি টাকাসহ আটক দুই রিয়েল এস্টেট এজেন্ট
অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৪:৫৪

ভারতে পুরাতন ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোটের এক কোটি টাকাসহ দুই রিয়াল এস্টেট এজেন্টকে আটক করেছে নাভি মুম্বাই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের সদস্যরা।

শুক্রবার ওই দুই ব্যক্তি পুরাতন নোট বদলে নতুন নোট নেয়ার চেষ্টা সময় আটক হন।

পুলিশ এ সময় আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করে। আটক অপর দুই ব্যক্তির ৩০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে পুরাতন নোট বদলে নতুন নোট দেয়ার কথা ছিল।

নাভি মুম্বাই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের সিনিয়র ইনস্পেক্টর অশোক রাজপুত বলেন, সেক্টর ২৮ এর ভাসি এলাকায় পুরাতন নোট বদলে নতুন নোট নেয়ার সময় জড়িতদের আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।







দেশে ১৩২ জঙ্গি গ্রুপ

শিমুল মাহমুদ ও জুলকার নাইন

ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর- বাংলাদেশে জঙ্গি ও মৌলবাদী গ্রুপের সংখ্যা ১৩২টি। ২০১৩ সালের পর থেকেই এদেশের জঙ্গি গ্রুপগুলো আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি ইতিমধ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। জেগে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিতরা। এ ছাড়া জঙ্গিদের সবাইকে একক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার একটি প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে জেএমবি ও এবিটি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। বিগত চার দশকে পুঞ্জীভূত নিট মুনাফার পরিমাণ হবে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। দেশে ২৩১টি বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) ট্রাস্ট-ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মৌলবাদের অর্থনীতি ধারণার প্রবর্তক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের প্রকাশিতব্য গবেষণা গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জঙ্গিবাদ : মর্মার্থ ও করণীয়’-এ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি প্রকাশিত বইটি চলতি মাসের শেষার্ধে প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর বৈশিষ্ট্য ও  বিকাশকাল বিশ্লেষণ ও গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সমন্বয় করে ড. আবুল বারকাত বলেছেন, ১৯৯২ সালের ৩০ এপ্রিল হুজি-বি’র আনুষ্ঠানিক গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদী জিহাদের প্রথম পর্ব বা ‘দাওয়া’ স্তরের শুরু। অতিক্রম করেছে দ্বিতীয় স্তর ‘ইদাদ’। এখন তাদের অবস্থান জিহাদের তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের মধ্যবর্তী কোনো পর্যায়ে অর্থাৎ ‘রিবাত’ ও ‘কিলাল’-এর মাঝে কোনো একপর্যায়ে। তবে সব কিছু বিচার-বিশ্লেষণে আমি মনে করি, তাদের অবস্থান জিহাদি সর্বশেষ পর্যায় ‘কিলাল’-এর কাছাকাছি অর্থাৎ তারা ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সশস্ত্র সম্মুখযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এ পরিস্থিতি মারাত্মক ও মহাবিপর্যয়কর।

ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনে ১৯৭০-৮০-র দশকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ সরবরাহ পেয়েছে; এসব অর্থ-সম্পদ তারা সংশ্লিষ্ট আর্থ-রাজনৈতিক মডেল গঠনে বিনিয়োগ করেছে; অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফা করছে; আর এ মুনাফার একাংশ তারা ব্যয় করছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে, একাংশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রসারে, আর (কখনো কখনো) একাংশ নতুন খাত-প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে।

গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪  শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা। বিগত চল্লিশ বছরে (১৯৭৫-২০১৪) মৌলবাদের অর্থনীতি সৃষ্ট ক্রমপুঞ্জীভূত নিট মুনাফার মোট পরিমাণ হবে বর্তমান বাজার মূল্যে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা।

জঙ্গিবাদের কার্যক্রমকে মারাত্মক ও মহাবিপর্যয়কর বলার কারণ ব্যাখ্যা করে ড. আবুল বারকাত বলেন, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিম ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহা-জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছে এবং আল-কায়েদা থেকে তারা অস্ত্র সরবরাহ, বোমা প্রস্তুত পদ্ধতি, অস্ত্র প্রশিক্ষণ (ম্যানুয়ালসহ), টার্গেট নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে গেরিলা কায়দা-কানুন, অর্থ সরবরাহ, অর্থের উৎস পোক্তকরণ, নিরীহ মুসলমানদের  জিহাদের পক্ষে আনার ‘বিজ্ঞানসম্মত’ পথ পদ্ধতি, প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি পাচ্ছে; তারা ইতিমধ্যে শুধু আল-কায়েদাই নয়, অনুরূপ অন্যান্য বিদেশি জঙ্গি সংগঠন-সংস্থা-প্রতিষ্ঠান-ট্রাস্ট-ফাউন্ডেশন-বেসরকারি সংস্থা-মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং ওদের পরামর্শে সক্রিয়; তৃতীয়ত, হিজবুত তাহরীরসহ আরও কিছু নিষিদ্ধ অথবা এখনো নিষিদ্ধ হয়নি এমন সব জঙ্গি সংগঠনও অনুরূপ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ বেশ কিছু ইসলামী জঙ্গি সংগঠন দেশের সব ইসলামী জঙ্গি সংগঠনসহ ইসলামী জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী সব সংগঠন-সংস্থা-প্রতিষ্ঠানকে (মৌলবাদের অর্থনীতির প্রতিষ্ঠানসহ) একক একটি প্লাটফর্মে দাঁড় করানোয় সক্রিয় রয়েছে; এদেশের সব ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মহাপরিকল্পনা ধারণ করে অর্থাৎ  ওদের সবাই বিশ্বাস করে যে, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই; ওরা যখন যেভাবে যেসব বর্বরতম নৃশংস পথ-পদ্ধতি অবলম্বনে মুক্তচিন্তার মানুষ খুন-হত্যা-জখম করছে, অর্থনীতির প্রাণ সংযোগসমূহ বিনষ্ট করে অর্থনীতিকে বিকল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন-আদালত-বিমান প্রতিষ্ঠান-দেশজ/সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান (প্রাতিষ্ঠানিক উৎসব) ও ব্যক্তি হত্যায় উদ্যত এসবই তো যথেষ্টমাত্রায় প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিত্ব বিকাশ স্তরের মানদণ্ডের প্রাথমিক কোনো পর্যায়ে অবস্থান করছে না।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ড. বারকাত বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন। এগুলো হলো— মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে শাস্তি কার্যকর করা (সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে)। জঙ্গিদের অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে সরকারের যা কিছু জানা আছে তা অতি দ্রুত গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচার করা। জঙ্গি অর্থায়নের উৎসমুখ বন্ধ করা। মৌলবাদের অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট (শিল্প, সংস্কৃতি ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশনসহ) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়-পক্ষীয় অডিটের মাধ্যমে জামায়াত-জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জঙ্গিদের সংশ্লিষ্ট সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা। জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী গোয়েন্দা নজরদারি সিস্টেম অনেক বেশি তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর ও দ্রুত ফলপ্রদ ও কার্যকর করার জন্য সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করা। সরকারের জঙ্গি দমন ও গ্রেফতার জঙ্গিদের মধ্যে জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা-সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি পরিচালন করা। জঙ্গিদের অস্ত্রের উৎসমুখ বন্ধ করা এবং একই সঙ্গে অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যেই যারা জঙ্গিত্ব-প্রমোটর তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকার থেকে তাদের বহিষ্কার করা। ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করা।

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গণসচেতনার ওপর জোর দিয়েছেন ড. বারকাত। তিনি বলেন, গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে সব ধরনের পথ-পদ্ধতি-মাধ্যম ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে সঙ্গত কারণে জুমার নামাজ হয় এমন মসজিদে জুমার খুতবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪০টি জামে-মসজিদে গড়ে প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৬৪ লাখ মুসল্লি, যারা আবার বাড়িতে ফিরে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

যত জঙ্গি গ্রুপ ও সমর্থনকারী সংস্থা : বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অথবা জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী ইসলামী সংস্থাগুলো হলো— (সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ও কালো তালিকাভুক্তসহ) আফগান পরিষদ, আহলে হাদিস আন্দোলন, আহলে হাদিস যুব সংঘ (এএইচজেএস), আহলে হাদিস তবলিগা ইসলাম, আহসাব বাহিনী (আত্মঘাতী সুইসাইড গ্রুপ), আল হারামাইয়েন (এনজিও), আল হারাত আল ইসলামিয়া, আল ইসলাম মারর্টারস ব্রিগেড, আল ইসলামী সংঘতি পরিষদ, আল জাজিরা, আল জিহাদ বাংলাদেশ, আল খিদমত, আল কুরত আল ইসলামী মারর্টারস, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল মুজাহিদ, আল কায়দা, আল সাঈদ মুজাহিদ বাহিনী, আল তানজীব আল উম্মাহ, আল্লার দল (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), আল্লার দল ব্রিগেড (আত্মঘাতী দল), আল ইয়াম্মা পরিষদ, আমানাতুল ফারকান আল খাইরিয়া, আমিরাত-ই-দিন, আমরা ঢাকাবাসী, আনজুমানে তালামজিয়া ইসলামিয়া, আনসার-আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ মুসলামিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), আরাকান আর্মি (্এ এ), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (এএলপি), আরাকান লিবারেশন পার্টি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, আরাকান পিপুলস আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স, আরাকান রোহিঙ্গা ইসলামিক ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও), ইউনাইটেড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব আরকান মুভমেন্ট, ইবতেদাদুল-আল মুসলিমা, ইকতেদুল তালাহ-আল মুসলেমিন, ইকতেদুল তুলাহ-আল-মুসলেমিন (আইটিএম), ইন্টারন্যাশনাল খাতমে নব্যুয়ত মুভমেন্ট, ইসলাহুল মুসলেমিন, ইসলামী বিপ্লবী পরিষদ, ইসলামী জিহাদ গ্রুপ, ইসলামী লিবারেশন টাইগার অব বাংলাদেশ (আইএলটিবি), ইসলামী প্রচার মিডিয়া, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী সমাজ (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (সারকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, ইয়ং মুসলিম, এবতেদাতুল আল মুসলামিন, এহসাব বাহিনী, ওয়ারেট ইসলামিক ফ্রন্ট, ওয়ার্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, ওলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যানাত (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), কালেমায়ে-জামাত, কালেমা-ই-দাওয়াত (অধ্যাপক আবদুল মজিদ এ দলের প্রধান), কতল বাহিনী (আত্মঘাতী গ্রুপ), খাতেমী নব্যুয়াত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশ (কেএনএপিবি), খাতেমী নব্যুয়াত কমিটি বাংলাদেশ, খিদমত-ই-ইসলাম, খিলাফত মজলিশ, খিতল-ফি-সাবিলিল্লাহ, খিলাফত-ই- হুক্মত, ছাত্র জামায়েত, জাদিদ-আল-কায়েদ, জাগ্রত মুসলিম বাংলা, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), জামাত-এশ-সাদাত, জামায়াত-উল-ইসলাম মুজাহিদ, জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), জামাত-ই-মুদারাসিন বাংলাদেশ, জামাত-ই-তুলবা, জামাত-ই-ইয়াহিয়া, জামাত-উল-ফালিয়া, জামাতুল ইসলাম মুজাহিদ, জামাতে আহলে হাদিস, জামেয়া মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া, জামিয়াতি ইসলামী সলিডারিটি ফ্রন্ট, জামিয়াতুল ইয়াহিয়া উত তুরাজ, জঙ্গি হিকমত, জয়শে-মুস্তাফা, জয়শে-মোহাম্মদ, জামাতুল-আল-শাদাত, ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আরাকান, ন্যাশনাল ইউনাইটেড পার্টি অব আরকান (এনইউপিএ), নিজামায়ে ইসলামী পার্টি, ফার ইস্ট ইসলামী, তা আমির-উল-দীন বাংলাদেশ (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), তাহফিজ হারমাইন, তামির উদ্দিন বাংলাদেশ, তানজিম বাংলাদেশ, তানজিন-ই-খাতেমি নব্যুয়ত, তাওহিদী জনতা, তাওহিদ ট্রাস্ট (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), দাওয়াত-ই-ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলাম রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ জামায়াত-উল-তালাবা-ই-আরাবিয়া, বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী দল, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, মজলিশ ই তাফিজা খাতেমি নব্যুয়ত, মুজাহিদ অব বাংলাদেশ, মুজাহিদী তোয়াবা, মুসলিম লিবারেশন ফ্রন্ট অব বার্মা, মুসলিম মিল্লাত শরিয়াহ কাউন্সিল, মুসলিম মুজাহিদীন বাংলাদেশ (্এমএমবি), মুসলিম রক্ষা মুজহাদিল, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেস ফোর্স, রোহিঙ্গা ইসলামী ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, রিভাইভাল অব ইসলামী হেরিটেজ (এনজিও), লিবারেশন মিয়ানমার ফোর্স, লুজমা মককা আল খায়েরা, শাহাদাত-ই-আল হিকমা (২০০৩ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), শাহাদাত-ই-নব্যুয়াত, শহীদ নাসিরুল্লাহ খান আরাফাত বিগ্রেড (আত্মঘাতী গ্রুপ), সত্যবাদ, সাহাবা সৈনিক, হরকত-ই-ইসলাম আল জিহাদ, হরকাত-উল জিহাদ-আল-ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), হায়েতুল ইগাসা, হেফাজতে খাতেমী নব্যুয়ত, হিজব-উত-তাহিরির (২০০৯ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), হিজবা আবু ওমর, হিজবুল মাহাদী, হিজবুল্লাহ আদেলী বাংলাদেশ, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, হিজবুত-তাওহিদ ও হিকমত-উল-জিহাদ।




ফ্ল্যাটের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন চান না গৃহায়ণ মন্ত্রী
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৯ | আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫১ | চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস


আবাসন খাতে মন্দা কাটাতে ফ্ল্যাট কিনলে ক্রেতাদের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করতে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। রেডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে চার দিনের এই মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। মেলায় ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৯০টি স্টল আছে। এতে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো ধরনের মূল্য ছাড়সহ নানা আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাসও দিচ্ছে তারা।

গত কয়েক বছর ধরেই ফ্ল্যাটের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে বলে আসছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। এমনকি দাম কমার পরও বিক্রি হচ্ছে না হাজার হাজার বাড়ি। এ জন্য নানা ধরনের প্রণোদনা চাইছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সদস্যরা। এ জন্য ক্রেতার টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে না চাওয়ার দাবি ছিল। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বলে জানালেন গৃহায়নমন্ত্রী । বলেন,  ‘সরকারের কিছু প্রণোদনা দিতে হবে।’

আবাসন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আপনারা অ্যাপর্টমেন্ট করেন- আপনারা রড, সিমেন্ট, টাইলস, কমোড, গ্লাস, ডোরসসহ আড়াইশ ধরনের উপকরণ লাগাচ্ছেন, এগুলো ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে আসছে। তারপর অ্যাপার্টমেন্ট করছেন। এরপরে ১৪ পারসেন্ট আবার রেজিস্ট্রেশন ফিও দিচ্ছেন। এরপরে যদি এনবিআর-দুদক এসে বলে যে, আপনি টাকাটা কোথা থেকে পাইলেন? এটা হবে।’



মন্ত্রী বলেন, ‘হাউজিং সেক্টরে ১৪ পারসেন্ট রেজিস্ট্রশন ফি দিচ্ছে। এরপরে জিজ্ঞেস করতেছে, এনবিআরের চেয়ারম্যান... যে আপনি কোথায় টাকা পাইলেন। দুদক এসে বলতেছে কোথা থেকে টাকা পাইলেন। এটা থেকে মুক্ত করতে হবে। না করলে এখান থেকে টাকা চলে যাবে। মানুষ বাইরে অ্যাপার্টমেন্ট কিনবে।’

অ্যাপার্টমেন্টের নিবন্ধন ফি কমাতে আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গেও একমত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী। বলেন, তিনিও চান এটা ১৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাত শতাংশ করা হোক।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, রিহ্যাবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/ডব্লিউবি