আজ সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ, ২৪ মাঘ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
বিস্তারিত সংবাদ
যশোরে রিয়েল এস্টেটের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরের এহসান রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেডে ৪০ লাখ টাকা লগ্নি করে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কাজী মফিজুল হক বিপাকে পড়েছেন। তিনি প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন কর্মকর্তাদের পিছু পিছু ঘুরছেন। কিন্তু লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের যশোর শাখার ব্যবস্থাপক মাগুরার শিমুলিয়া গ্রামের আতাউল্লাহসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সাবেক পুুলিশ পরিদর্শক কাজী মফিজুল হকের গত মঙ্গলবার দায়েরকৃত মামলায় বলা হয়েছে, বিগত ২০১১ সালের ৩ জুলাই তিনি এহসান রিয়েল এস্টেটে হিসাব খোলেন। যার নম্বর-৭৬১। এ হিসাবে প্রথম ৫ লাখ, একই বছরের ১৩ অক্টোবর ২০ লাখ, ২০১২ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি ১৯১৬ নম্বর হিসাবে ১০ লাখ ও ২০১৩ সালের ৬ মে ৫ লাখ টাকা শহরের চুড়িপট্টিস্থ জেলা শাখার অফিসে উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রলোভনে পড়ে জমা দেন। তাকে বলা হয়, এ টাকা জমার বিপরীতে তাকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা দেয়া হবে। কিন্তু তা না দিয়ে তাকে ঘোরাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি টাকা ফেরত চাইলে কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে উক্ত টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপর অভিযুক্তরা হচ্ছেন, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার নবনিয়া গ্রামের জাকারিয়া, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আইয়ূব আলী, ঢাকা গুলশান এলাকার আবু তাহের, মাগুরার কাজী রবিউল ইসলাম, একই এলাকার জুনাইদ আলী, আজিজুর রহমান, মইন উদ্দিন, গোলাম রহমান, আব্দুল মতিন, আমিনুল হক, কলিম উল্লাহ কলি।
অর্থনীতি-ব্যবসা
আবাসন খাত হুমকিতে
অবিক্রীত পড়ে রয়েছে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট
1137 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে বর্তমানে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ৩০ ভাগ ছাড় দিয়েও এখন আর আগের মতো ক্রেতা টানতে পারছে না। প্রতিবছর আবাসন খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও অনেক কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার। ফলে আবাসন ব্যবসায় নেমে এসেছে ধস।
ঢাকা: রাজধানীতে বর্তমানে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো ১০ থেকে ৩০ ভাগ ছাড় দিয়েও এখন আর আগের মতো ক্রেতা টানতে পারছে না। প্রতিবছর আবাসন খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও অনেক কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার। ফলে আবাসন ব্যবসায় নেমে এসেছে ধস।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই খাতের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে মধ্যবিত্তদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সংকট নিরসন হতে পারে। এতে মধ্যবিত্তরাও ফ্ল্যাট ক্রয়ে সক্ষম হতে পারেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আবাসন প্রকল্পে ক্রমবর্ধমান চড়া সুদ, ফ্ল্যাটের অসঙ্গতিপূর্ণ দাম, ক্রেতাদের আস্থাহীনতা, দেরিতে ফ্ল্যাট হস্তান্তর, চড়া নিবন্ধন ফি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, কালো টাকার অনুপ্রবেশ, একচেটিয়া ব্যবসা, অব্যবস্থাপনা এবং শেয়ারবাজারে ধসের কারণে এই নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নামে-বেনামে গজিয়ে ওঠা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো গত ১৫ বছরে কমপক্ষে ১০ দফা ফ্ল্যাটের মূল্য বাড়িয়েছে। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে যেখানে প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হতো ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়, সেখানে ২০১০ সাল নাগাদ তা হয়েছে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনেক কোম্পানি তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছে।
অভিযোগ রয়েছে, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকর আইন না থাকায় নামে-বেনামে বেড়েই চলেছে এসব কোম্পানির সংখ্যা। আর তারাই নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ইচ্ছামতো ব্যবসা করছে। জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বেশিরভাগ রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিক্রি ৩০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমে গেছে।
ঢাকা নগরীতে কমপক্ষে ১৩ হাজার ফ্ল্যাট বর্তমানে অবিক্রীত পড়ে আছে। এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বেশ কিছু প্রকল্প সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক দিকে ফ্ল্যাটের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা। অন্যদিকে নির্মাণাধীন বাড়িগুলো ক্রেতার কাছে হস্তান্তর নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
আবাসন খাতে দিন দিন কমে যাচ্ছে ঋণ লেনদেনের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৩-২০১৪ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, আবাসন খাতকে গত বছর জুন পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ৪৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আগের অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা এবং তারও আগের বছর ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ফলে ঋণ প্রবৃদ্ধি হার কমার সঙ্গে সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদনে রিয়েল এস্টেটের অবদান দিন দিন কমছে।
এ অবস্থায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে যাতে অবদান রাখতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে ফ্ল্যাটের মূল্য মধ্যবিত্তদের সামর্থ্যরে মধ্যে নিয়ে আসাটাই হবে ফলপ্রদ পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে বিভিন্ন কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হলেও বর্তমানে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ঋণ সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি নয়, সংকট সৃষ্টির জন্য চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিই দায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫
নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বেবি নাজনীন
প্রবাসে সময়
Update: 2015-08-30 01:35:34, Published: 2015-08-30 01:35:34
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসনে শনিবার এক অনাড়ম্বর সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এক্সিট রিয়েলিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল সেলস এবং একই সাথে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আজহারুল হক এবং অন্যতম বিনিয়োগ পরিচালক জন ফাহিম উপস্থিত ছিলেন। ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত বেবি নাজনীন বলেন, সংগীতই তার সাধনা এবং শিল্পীই তার একমাত্র পরিচয়। তবে জীবনের বাস্তবতায় এক্সিট রিয়েলিটির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চান তিনি।তিনি।
অর্থ ও বাণিজ্য / নোট প্রত্যাহারে থমকে গেছে ভারতের রিয়েল এস্টেট খাত
নোট প্রত্যাহারে থমকে গেছে ভারতের রিয়েল এস্টেট খাত
in অর্থ ও বাণিজ্য
প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে শনিবার হচ্ছে ব্যস্ততার দিন। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন শহরতলিতে বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজতে ও কিনতে এদিন আগ্রহীদের ভিড় লেগে থাকে। ভারতের, বিশেষত মহারাষ্ট্রের বর্ধিষ্ণু মধ্যবিত্তের আগ্রহ ইদানীং মুম্বাইয়ের চারপাশের এলাকাগুলো ঘিরে। এদের অনেকে বসতি অথবা ব্যবসার একটা স্থায়ী ঠিকানার খোঁজে আসেন প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে।
গত শনিবারের কথা ভিন্ন। প্যাটেলস প্ল্যানেটের অফিসে এদিন কেউ আসেনি বললেই চলে। কোম্পানি মালিকের ভাই প্রতীক প্যাটেল জানালেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে তিনি কোনো অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেননি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে অ্যাপার্টমেন্ট-বাড়ি বিক্রি থমকে গেছে।
ভারতে রিয়েল এস্টেট খাতে লেনদেনের সিংহভাগ সম্পন্ন হয় নগদ অর্থে। জমি ও বাড়ি কেনাবেচায় কর ফাঁকি দিতে নগদ লেনদেনে জোর দেন সবাই। বাজার থেকে বড় ব্যাংক নোট উঠিয়ে নেয়ায় রিয়েল এস্টেট ক্রেতারা থেমে গেছেন। অনেকের ধারণা, ক্রেতারা যখন ফিরবেন, তখন রিয়েল এস্টেটের দামও কমবে।
প্রতীক প্যাটেল বলেন, ক্রেতারা এখন টেলিফোন করে দাম কমেছে কিনা জানতে চান। বড় নোট বাতিলের আগে প্রতি সপ্তাহে প্যাটেলস প্ল্যানেটের তিন-চারটি ইউনিট বিক্রি হতো। কিন্তু এক মাস আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক ওই ঘোষণার পর থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা।
রিয়েল এস্টেট খাতের বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্রপইকুইটি জানিয়েছে, আগামী বছর নাগাদ মুম্বাই ও গুরগাঁওয়ে আবাসন সম্পত্তির দাম ৩০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
উদীয়মান অনেক দেশের চেয়ে ভারতে নগদ লেনদেনের প্রচলন বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে তারল্য প্রবাহের ৮৬ শতাংশ ছিল ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট। এ দুটি নোট প্রত্যাহার ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমত. বিক্রি কমে যাওয়ায় নগদ অর্থ আমদানি ও আয় থমকে গেছে। দ্বিতীয়ত. ঋণদাতা ও মহাজনের পাওনা পরিশোধে বেগ পেতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও তারা এমনকি ২২ শতাংশ সুদ হারেও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে লগ্নি করেছেন। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে যেকোনো মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। কম দামে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেই অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
প্রপইকুইটির প্রধান নির্বাহী সমীর জাসুজা বলেন, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো যারপরনাই চাপে রয়েছে।
বড় নোট প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তের পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেভেলপারদের শেয়ার মূল্য পড়তির দিকে রয়েছে। ডিএলএএর শেয়ার এ কয়দিনে ১৯ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে। একইভাবে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের শেয়ার ১৫ শতাংশ ও ইন্ডিয়াবুলস রিয়েল এস্টেটের শেয়ার ১৪ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে। তুলনামূলক বিচারে এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্সের সার্বিক সূচক নেমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
সারা ভারতের রিয়েল এস্টেট ব্রোকাররা এ খাতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন। মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও পুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ক্রেতা-অনুসন্ধান ও বিক্রি ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বেচাকেনা একদম থেমে গেছে। বেঙ্গালুরুতে বিক্রি চুক্তি নিষ্পন্নর হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বেশির ভাগ ক্রেতাই মূল্যহ্রাসের ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
দক্ষিণ ভারতের রিয়েল এস্টেট ব্রোকার দয়ানিধি জানান, সম্প্রতি তিনি তিনটি কেনাবেচা চুক্তির কাজ করছেন। তিনটি ভেস্তে গেছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক— দুটি বাজারেও ক্রেতা আগ্রহ শূন্যে নেমেছে।
তিন মাস আগে দয়ানিধি একটি অফিস ভবন বিক্রিতে মধ্যস্থতা করছিলেন। ভবনটি ১২ কোটি রুপি মূল্যে বিক্রির কথা ছিল। ক্রেতাপক্ষ ১০ লাখ রুপি অগ্রিমও দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরদিন সকালে দয়ানিধির টেলিফোন নম্বরে কল করেন ক্রেতা। উদ্দিষ্ট ভবনটির দাম ২০ শতাংশ কমানোর দাবি জানান তিনি। ক্রেতা পক্ষ ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। চুক্তিও ভেঙে পড়েছে।
রিয়েল এস্টেট বাজারে নগদ লেনদেনে ক্রেতারা বাড়তি একটি সুবিধা পেতেন। নগদ মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে তারা প্রায় ছাড় পেতেন। এ বাজারে ক্রেতাদের অনেকেই ব্যবসায়ী, চিকিত্সক বা অন্যান্য পেশাজীবী। তারা সচরাচর নগদ অর্থেই পণ্য অথবা সেবার মূল্য গ্রহণ করতেন, যাতে নিজেদের পুরো আয় ঘোষণা না করতে হয়। বাজার থেকে ৫০০ ও ১ হাজার রুপি নোট প্রত্যাহারের আকস্মিক ঘোষণায় এরা এমনিতেই মুষড়ে পড়েছেন।
ভারত সরকার কালো টাকা ও দুর্নীতি দমনের উদ্দেশ্যে বড় নোটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এসব নোট ব্যাংকে জমা অথবা পাল্টে নিতে সরকার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এরই মধ্যে ১২ হাজার কোটি ডলারের সমমানের নোট ব্যাংকে জমা অথবা পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অনেক ভারতীয় নিজেদের অপ্রদর্শিত আয় নষ্ট হতে দেয়াকেই শ্রেয় মনে করবেন। অর্থলুপ্তির চেয়ে কর বিভাগের শ্যেনদৃষ্টিকেই তারা বেশি ভয় পান।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রিয়েল এস্টেট খাতে আস্থা এখন ভীষণ রকম নেতিবাচক। পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। রিয়েল এস্টেট খাতকে বাঁচাতে সুদ হার হ্রাস এবং বাড়ি কেনায় কর ছাড়ের মতো পদক্ষেপ কার্যকর হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা বলছেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নীতি ও বাজেট প্রণয়নে রিয়েল এস্টেট খাতের কথা মাথায় রাখতে হবে। কেননা, সম্পত্তি বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনাটাই এ মূহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ।
রিয়েল এস্টেটসহ নানা খাতের ব্যবসায়ীরা গতকাল বুধবার আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকের ফলাফলে দৃষ্টি রেখেছিলেন। কিন্তু আরবিআই গভর্নর উরজিত প্যাটেল ও তার দুই সহকর্মী ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদহার বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা হতাশ হন। ব্যবসায়ীদের এ হতাশার তাত্ক্ষণিক প্রতিফলন দেখা গেছে ভারতের শেয়ারবাজারে। মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর পর বিএসই সেনসেক্স সূচক ২০০ পয়েন্ট নেমে যায়। দিনের শুরুতে ডলারের বিপরীতে রুপির মান বাড়লেও বৈঠকের খবর প্রকাশের পরপর রুপি দুর্বল হতে থাকে। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ইকোনমিক টাইমস।
সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
শিরোনাম :
টঙ্গীর রিয়েল এস্টেট পরিচালক অপহৃত ১০ লাখ টাকা দাবি
ঢাকা (উত্তর) প্রতিনিধিপ্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৬, ০০:০০:০০
অঅ-অ+
টঙ্গীর এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক কাজী রবিউল ইসলামকে অপহরণের চারদিন পার হলেও কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন (০১৭৪০৮৬৩৭৫৩) থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় উত্তরা ৯নং সেক্টর কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পরিচালক জুনায়েদ আলী, কর্মকর্তা আতাউল্লাহ, বাবর আলী, আবু হানিফ, রাজু, সেলিমূল আজম, আবদুল হক, মুফ্তি ফোরকান ও তার সহযোগীরা একের পর এক নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আত্মসাৎ ও ব্যাপক দুর্নীতি করে আসছে। এ নিয়ে পরিচালক রবিউল ইসলাম ও একই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের হিসেবে কাজী রবিউল ইসলাম গত মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে কাপ্তান বাজার এলাকায় পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে অপহরণ করে। এরপর বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। এ সংক্রান্ত ঘটনায় রিয়েল এস্টেটের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর সিকদার বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে থানার এসআই জানান, অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment