ডেইলি সিলেট ডট কম :: প্রকাশিত হয়েছে : এপ্রিল ২১, ২০১৫ | ২:৫২
ডেইলি সিলেট ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলোঃ
লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।
রেজিস্ট্রেশনের সময় যে সকল কাগজপত্র প্রদান করতে হয়:
দলিল রেজিস্ট্রারিং অফিসার এ আইনে নতুন সংযোজিত ৫২এ ধারার বিধান অনুসারে বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সাথে নিচের কাগজগুলো সংযুক্ত থাকে:
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন।
প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐ সম্পত্তি পেয়ে থাকেন।
সম্পত্তির প্রকৃতি।
সম্পত্তির মূল্য।
চতুর্সীমা সহ সম্পত্তির নকশা।
বিগত ২৫ বৎসরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা (Affidavit) সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো নিকট বিক্রি করেননি এবং তিনিই দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক (He has Lawful Title)।
ছাড়াও প্রতিটি দলিল রেজিষ্ট্রির সময় ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে হলফনামা ও একটি নোটিশ সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত নোটিশে ১/= টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযুক্ত হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করতে হয় এবং ষ্ট্যাম্পের বাদবাকী মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান করে, চালানের কপি সংযুক্ত করতে হয়।
বায়নানামা দলিলের ফি
১. ৫০০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি নয়।
২. ১২৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়।
৩. ২৩৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি।
* হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের ফি
১. মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন (শরিয়ত) মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক ঘোষণা রেজিস্ট্রির জন্য সম্পত্তির মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিস্ট্রি ফি ৪৪০ টাকা।
২. যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তান, দাদা-দাদি (নানা-নানি) ও নাতি-নাতনি, সহোদর ভাইরা, সহোদর বোনরা এবং সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।
* বন্ধকি দলিলের ফি
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২-এর ধারা ৫৯ মোতাবেক বন্ধকি দলিলের প্রদেয় রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ-
১. ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ২০ লাখ টাকার কম হলে ১৩৪০ টাকা।
২. ২০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৩৪০ টাকা।
৩. ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৫০০০ টাকা।
* ঋণ বাবদ মঞ্জুরীকৃত টাকার ১ শতাংশ কিন্তু ২০০ টাকার কম নয় ও ৫০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ কিন্তু ১৫০০ টাকার কম নয় ও ২০০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক এক শূন্য শতাংশ কিন্তু ৩০০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার বেশি নয়।
* বণ্টননামা দলিলের ফিসের হার (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত)
১. ৫০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকা হলে।
২. ৭০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৩. ১২০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৪. ১৮০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৫. ২০০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে।
* শুধু দলিলের রেজিস্ট্রি ফি
যত টাকা মূল্যের দলিল রেজিস্ট্রি করা হোক না কেন তাতে শতকরা দুই টাকা হারে রেজিস্ট্রি ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
কোন জমি রেজিস্ট্রি করতে কত টাকার দরকার?
02 Tuesday Jun 2015
Posted by amirulislaminfo in LAW ≈ Leave a comment
কোন জমি রেজিস্ট্রি করতে কত
টাকার দরকার?
১। বায়নানামা দলিলের ফিঃ
————————–
৫০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫
লক্ষ টাকার বেশী নয়।
১০০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৫০ লক্ষ
টাকার বেশী নয়।
২০০০ টাকাঃ যে সম্পত্তির মূল্য ৫০
লক্ষ টাকার বেশী।
২। হেবার ঘোষনাপএ দলিলের ফিঃ
———————————
মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন(শরিয়ত)
মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো
স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক
ঘোষনা রেজিষ্ট্রির জন্য সম্পত্তির
মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিষ্ট্রি
ফি ১০০টাকা।
যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী,
পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা- দাদি
( নানা- নানি) ও নাতি- নাতনি,
সহোদর ভাইরা,সহোদর বোনরা এবং
সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।
৩। বন্ধকী দলিলের ফিঃ
———————–
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২ এর ধারা
৫৯ মোতাবেক বন্ধকী দলিলের
প্রদেয় রেজিষ্ট্রিশন ফি নিন্মরূপ—
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশী
নয়।
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার বেশী
কিন্তু ২০ লক্ষ টাকার বেশী নয়।
যে ক্ষেত্রে ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত
অর্থের পরিমান ২০ লক্ষ টাকার বেশী
।
* ঋন বাবদ মঞ্জুরিকৃত টাকার ১% কিন্তু
২০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০ টাকার
বেশী নয়।
* মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.২৫% কিন্তু ১৫০০
টাকার কম নয় ২০০০ টাকার বেশী নয়।
* মঞ্জুরিকৃত টাকার ০.১০% কিন্তু ৩০০০
টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার
বেশী নয়।
৪। বন্টননামা দলিলের ফিসের হারঃ
———————————
৫০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩
লক্ষ টাকা হলে।
৭০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ১০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
১২০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ১০
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৩০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
১৮০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৩০
লক্ষ টাকার বেশী কিন্তু ৫০ লক্ষ
টাকার বেশী না হলে।
২০০০ টাকাঃ সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ ৫০
লক্ষ টাকার বেশী
রেজিস্ট্রি দলিলে আদায়যোগ্য
ফিস ও করাদির হার—
———————————————–
দলিলের মূল্য ৫০০০ টাকা পর্যন্ত
মূল্যের উপর ২৫ টাকা,কিন্তু ১০০
টাকার কম নয়।
৫০০০ টাকার বেশী মূল্যমানের জন্য
২.৫%হার|
আইন অধিকার
দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে...
তানজিম আল ইসলাম | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, ০০:০৭
২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে জমির যেকোনো হস্তান্তরযোগ্য দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, যে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক অথচ রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি, তখন সেই দলিল নিয়ে আপনি কোনো দাবি করতে পারবেন না। সাব-কবলা দলিল, হেবা বা দানপত্র, বন্ধকি দলিল, বায়না দলিল, বণ্টননামা দলিলসহ বিভিন্ন হস্তান্তর দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। দলিলের বিষয়বস্তু যে এলাকার এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রি করতে হলে...
জমি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রি
জমি বিক্রির জন্য জমির বায়নানামা (বিক্রির চুক্তিপত্র) সম্পন্ন করা হলে তা রেজিস্ট্রি করতে হবে। জমির বায়নানামা সম্পাদনের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে বায়নাটি রেজিস্ট্রি করতে হবে। আর শর্ত অনুযায়ী বায়নার চুক্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করার সব পদ্ধতি মেনে সাব-কবলা দলিলটি সম্পাদিত হলে সম্পাদনের পর থেকে তিন মাসের মধ্যে সাব-কবলা দলিলটি রেজিস্ট্রি করাতে হবে। আইন অনুযায়ী, তিন মাস পার হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে আপিল করার সুযোগ আছে।
দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় সতর্কতা
কোনো দলিল আইনগত ও যথাযথ পদ্ধতিতে সম্পাদনের পর রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমেই জমির সব দলিল-দস্তাবেজ ও মালিকানা যাচাই করতে হবে। দলিলটি সম্পাদনের ক্ষেত্রে খসড়াটি ভালো করে যাচাই করতে হবে। দলিলে কোনো ভুল থাকলে ও রেজিস্ট্রি হলে এটি সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই করের মাত্রা কমানোর জন্য জমির দাম কম দেখানো হয়। এতে ভবিষ্যতে কিছু প্রতিকার পেতে ঝামেলা হয়। দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পরপরই নকল তুলতে হবে এবং এটি তুলে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে ভুলভ্রান্তি আছে কি না। দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় একটি রসিদ দেওয়া হয়। এই রসিদ মূল দলিল ওঠানোর সময় দেখাতে হয়। কোনো সম্পত্তির আংশিক এক জায়গায় এবং বাকি অংশ অন্য জায়গায় পড়লে বেশির ভাগ অংশ যে এলাকায় পড়বে, সেখানের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করতে হবে। কোনো বিশেষ কারণে দলিলদাতা বা গ্রহীতা অসুস্থ হলে সাব-রেজিস্ট্রারকে বাসায় নিয়েও রেজিস্ট্রি করা যায়। মনে রাখতে হবে, দলিল কার্যকর হয় দলিল সম্পাদনের তারিখ থেকেই, অর্থাৎ যে তারিখে দলিলটি সম্পন্ন করা হয়েছে, সেই তারিখ থেকে, দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ থেকে নয়। বাংলাদেশের বাইরে দলিল সম্পাদন করা হলে দলিলটি যেদিন বাংলাদেশে পৌঁছাবে, সেই তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করাতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রি ফি
বায়নাপত্র: সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি ৫০০ টাকা। পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে ফি এক হাজার টাকা। মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা।
বন্ধক দলিল: বন্ধকি অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হলে ফি বন্ধকি অর্থের ১ শতাংশ এবং ২০০ টাকার নিচে ও ৫০০ টাকার বেশি নয়। অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার ওপরে কিন্তু ২০ লাখ টাকার নিচে হলে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে তা এক হাজার ৫০০ টাকার কম নয় এবং দুই হাজার টাকার বেশিনয়।
বন্ধকি অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ টাকার ওপরে হলে রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে বন্ধকি অর্থের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। তবে তা তিন হাজার টাকার কম নয় এবং পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।
হেবা ও দানপত্র: মুসলিম ধর্মের ক্ষেত্রে হেবানামা এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে দানপত্র যদি স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা-দাদি, নানা-নানি, নাতি-নাতনি ও সহোদর ভাইবোনের মধ্যে হয়, তাহলে রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা।
বণ্টননামা দলিল: সম্পত্তির মূল্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ৫০০ টাকা, তিন লাখ টাকার বেশি এবং ১০ লাখ টাকার কম হলে ৭০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ২০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম হলে এক হাজার ৮০০ টাকা এবং সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দুই হাজার টাকা ফি দিতে হহবে।
জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম, যা সবার জেনে রাখা দরকার
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জমি রেজিস্ট্রেশনের বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলো: লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না। বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না। রেজিস্ট্রেশনের সময় যে সকল কাগজপত্র প্রদান করতে হয়: দলিল রেজিস্ট্রারিং অফিসার এ আইনে নতুন সংযোজিত ৫২এ ধারার বিধান অনুসারে বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সাথে নিচের কাগজগুলো সংযুক্ত থাকে: রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন। প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ঐ সম্পত্তি পেয়ে থাকেন। সম্পত্তির প্রকৃতি। সম্পত্তির মূল্য। চতুর্সীমা সহ সম্পত্তির নকশা। বিগত ২৫ বৎসরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ। দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা (Affidavit) সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো নিকট বিক্রি করেননি এবং তিনিই
দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক (He has Lawful Title)। বিক্রয় বা সাফ কবলা দলিলের রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় নিম্নরূপ: ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে পৌর এলাকা ভুক্ত এলাকার জন্য: ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ৩.০%, সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০%, স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %, উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ২.০%, গেইন ট্যাক্স ( পৌর/ সিটি কর্পোরেসনে জমা দিতে হয়) ১.০ %, মোট = ৯.০%, পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত/ ইউনিয়ন পরিষদভুক্ত এলাকার জন্য: ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (সম্পত্তির মূল্যের) ২.০ %, সরকারী রেজি: ফি (যা রেজিষ্ট্রি অফিসে নগদ জমা দিতে হয়) ২.০ %, স্থানীয় সরকার ফি (যা রেজিষ্ট্রি নগদ জমা দিতে হয়) ১.০ %, উৎস কর (এক লক্ষ টাকার উপরের জন্য প্রযোজ্য) ১.০ %, মোট = ৬.০%, এছাড়াও প্রতিটি দলিল রেজিষ্ট্রির সময় ৫০/= (পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে হলফনামা ও একটি নোটিশ সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত নোটিশে ১/= টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযুক্ত হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি করতে ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করতে হয় এবং ষ্ট্যাম্পের বাদবাকী মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে চালান করে, চালানের কপি সংযুক্ত করতে হয়। দলিলের সার্টিফাইড কপি উত্তোলনের ক্ষেত্রে সরকারী ফি নিম্নরূপ: ষ্ট্যাম্প বাবদ ২০ টাকা, কোর্ট ফি ৪ টাকা, মোট= ২৪ টাকা, লেখনী বাবদ দলিলের প্রতি ১০০ শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য বাংলার জন্য ৩ টাকা, প্রতি ১০০ ইংরেজী শব্দ বা অংশ বিশেষের জন্য ৫ টাকা, জরুরী নকলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা, উক্ত নকল চার পৃষ্ঠার বেশি হলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ৫ টাকা, দান দলিল রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম: রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইন ২০০৪ এ নতুন সংযোজিত ৭৮এ ধারা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হয়। দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ: স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা-সন্তান, দাদা-দাদী ও নাতি-নাতনী, সহোদর ভাই-ভাই, সহোদর বো-বোন এবং সহোদর ভাই ও সহোদর বোনের মধ্যে যে কোনো স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি ফি ১০০ টাকা। উল্লিখিত সম্পর্কের বাইরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সম্পাদিত দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রির ফি হবে কবলা দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রযোজ্য ফি’র অনুরূপ। জীবন স্বত্ত্বে দান দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি: স্প্যাম্প এ্যাক্ট ১৯০৮ এর ৫৮ নং আর্টিক্যাল অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান (মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) এর জন্য জীবন স্বত্ত্বে দানের বিধান হলো – যে প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পত্তি দান করা হবে সে প্রতিষ্ঠান ঐ সম্পত্তি শুধু ভোগ-দখল করতে পারবে, সম্পত্তি কোনরূপ হস্তান্তর করতে পারবে না। এরূপ জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে দানকারীর নামে। কোন কারণে ঐ প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর না থাকলে সম্পত্তি দানকারীর মালিকানায় চলে যাবে এবং দান দলিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। স্ট্যাম্প ফি ২%, রেজিস্ট্রেশন ফি ২.৫%, ১লা নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদমাহমুদ
ভূমি রেজিস্ট্রেশন কেন ও কিভাবে ?
। ২১ মার্চ, ২০১৪ ২:০৭ অপরাহ্ণ
সামান্য অসর্তকতার কারণে আপনার কেনা মহামূল্যবান সম্পত্তিতে গলদ দেখা দিতে পারে। তাই জমি কেনার আগেই সবকিছু যাচাই-বাছাই করতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য আপনাকে অনেক বেশি মাশুল দিতে হবে। তাই জমি কেনার সময় সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে জেনে নিন ভূমি রেজিস্ট্রেশন কেন ও কিভাবে করতে হবে:
জমি বা সম্পত্তি নিবন্ধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তার জন্য জানা দরকার জমি রেজিস্ট্রেশন আইন। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৯০৮ সালের জমি রেজিস্ট্রেশন আইনের কিছু সংশোধনী আনা হয়, যা ১ জুলাই ২০০৫ সাল থেকে কার্যকর হয়। উক্ত সংশোধনীর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-
১। আগে জমি বিক্রির কাজটি ছিল একপক্ষীয় অর্থাৎ শুধু বিক্রেতাই দলিল সম্পাদনের কাজ করতেন। এখন বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতাকেও সম্পাদনের কাজ করতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে দলিল করার সময় উভয়পক্ষকে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে এখন আর বিদেশে বসে কিংবা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলে-মেয়ের নামে জমি কেনা সম্ভব না।
২। সম্পত্তিটিতে বিক্রেতার উপযুক্ত মালিকানা রয়েছে কিনা, তা প্রমাণের জন্য সম্পত্তিটির পূর্ববর্তী বিক্রেতা বা মালিকের কাগজপত্রের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। এছাড়া সম্পত্তিতে যে বিক্রেতার আইনানুগ মালিকানা আছে এই মর্মে একটি হলফনামা জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় জমির বিক্রেতাকে দাখিল করতে হবে।
৩। সম্পত্তির ধরণ,সম্পত্তির দাম,সম্পত্তির মানচিত্র এবং আশপাশের সম্পত্তির বিবরণ ও আঁকানো ছবি দিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
৪। শেষ ২৫ বছর উক্ত সম্পত্তিটিতে কার কার মালিকানায় ছিল তার বিবরণ রেজিস্ট্রেশনের সময় দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
৫। ক্রেতা ও বিক্রেতার ছবির উপরে দুপক্ষেরই স্বাক্ষর এবং টিপসই দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর ফলে বেনামীতে আর কোনো সম্পত্তি কেনা-বেচা করা যাবে না।
৬। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হতে জমি ক্রয় করবে, এ মর্মে বায়নাপত্র করে থাকে , তাহলে সেই বায়নাপত্রটিও এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ৫০০ টাকা।
৭। জমির মূল্য ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে হলে রেজিস্টেশন ফি হবে ১ হাজার টাকা।
৮। জমির মূল্য যদি ৫০ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ২ হাজার টাকা।
৯। যদি শরিয়া আইন অনুসারে স্বামী স্ত্রী,ভাই-বোন বা ছেলে মেয়েদেরকে কোন সম্পত্তি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সম্পত্তির মূল্য যাই হোক না কেন নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ১০০ টাকা।
১০। চলতি সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে সম্পত্তি কেনার চুক্তি সম্পাদনের ৩ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকত। কিন্তু বর্তমানে তা ১ বছর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য যে, উভয় পক্ষ যদি চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় চুক্তিতে উল্লেখ করেন, তাহলে সেটিই কার্যকর হবে। অন্যথায় না থাকলে ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে।
তবে উল্লেখ্য যে সমস্ত সম্পত্তি বিক্রির বায়না চুক্তি এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করা হয় নি, সেই ক্ষেত্রে এই আইন বলবৎ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য বিক্রির সব প্রমাণ উপস্থিত করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ের পর সেই সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
যদি কোনো সম্পত্তি কোনো ব্যক্তির নিকট বন্ধক থাকে, তাহলে যার কাছে জমিটি বন্ধক আছে তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোথাও বন্ধক রাখা বা বিক্রয় করা যাবে না। বিক্রি করলে তা বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
অন্যান্য আইনকানুনঃ
ভূমি হস্তান্তরের দলিল স্ট্যাম্পের উপর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নির্দিষ্ট ফরমেট বা ছক অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। এই ছকে ক্রেতা-বিক্রেতার ছবি সংযোজনের নতুন বিধান রাখা হয়েছে।
তামাদি হওয়ার সময়সীমা
তামাদি হওয়ার সময়সীমা তিন বছর থেকে এক বছর করা হয়েছে। দলিল তৈরি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময়
দলিল তৈরি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মুসলিম পারিবারিক ধর্মীয় আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি মৌখিক দান বা হেবা দলিলও এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই দলিল হবে ঘোষণামূলক। এর জন্য ফি হবে মাত্র ১০০ টাকা।
হেবা বা দান কে কাকে করতে পারে:-
হেবার ক্ষেত্রে শুধু রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় তথা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে,পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে,ভাই-ভাই,বোন-বোন অথবা ভাই-বোন,দাদা-দাদী, নানা-নানী থেকে নাতি-নাতনী ও নাতি-নাতনী থেকে নানা-নানী সম্পর্কের মধ্যে হেবা দলিলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নামমাত্র ১০০ (একশত) টাকায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন:-
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে ওয়ারিশগণের মধ্যে সম্পত্তি বন্টন না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্টেশন করার প্রয়োজন নেই।
সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন:-
আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রক্রয় দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বায়না চুক্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফি:-
এখন থেকে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বায়নার ক্ষেত্রে ৫(পাঁচ) লাখ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা,
৫ লাখ টাকার অধিক থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা,
৫০ লাখ টাকার অধিকমূল্য সম্পত্তির জন্য ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
বায়না নামা রেজিস্ট্রেশন করা ছাড়া চুক্তি বলবৎ করতে আইনগত কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না। আবার বায়নার অবশিষ্ট টাকা জমা না করা হলে কোন মামলা মোকদ্দমা করা যাবে না। সম্পত্তি বিক্রয়ের বায়নানামা চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তবে বায়নানামা রেজিস্ট্রেশন না করা চুক্তি কার্যকর বা বাতিল করতে হলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ৬ মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ৩ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিঃ দ্রঃ ভবিষ্যতে মামলা মোকদ্দমা থেকে পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্ব পুরুষদের আপসে সম্পত্তি বন্টনের দলিল রেজিস্ট্রেশন বার্ধতামূলক করার ফলে ওয়ারিশদের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। মাত্র ২০-(বিশ) টাকা মূল্যের স্ট্রাম্পে দলিল করে তা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং সর্বোচ্চ অংশ প্রাপ্ত অংশীদারের সম্পত্তির হিসাব থেকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণের অংশীদারদের ভাগে পাওয়া সম্পত্তির মূল্য মানের শতকরা আড়াই ভাগ টাকা সব অংশীদারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হবে।
• কবলা বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রি ফি
ক. স্ট্যাম্প শুল্ক ক্রয়মূল্যের…………………………………………………………………………৫%
খ. রেজিস্ট্রি ফি ১-২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয়মূল্যের জন্য টাকা…………………………………….৫০/-
গ. রেজিস্ট্রি ফি ২৫০১-৪০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয়মূল্যের জন্য ……………………………………..২%
ঘ. রেজিস্ট্রি ফি ৪০০১ হতে তদুর্ধ্ব বিক্রয়মূল্যের জন্য………………………………………………২.৫০%
ঙ.হলফনামা ফি টাকা………………………………………………………………………………৫০/-
চ. পৌরকর: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য………………………..১%
ছ. উৎস কর: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য……………………….৫%
জ. সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা বর্হিভূত জমি বিক্রির
ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কর (১%+১%)………………………………………….২%
ঝ. সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বর্হিভূত এলাকার ১ লাখ
টাকার অধিক মূল্যের অকৃষি জমি বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতার উৎস কর……………………………….৫%
ঞ. মওকুফ: সিটি কর্পোরেশন/পৌর/টাউন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার বাইরের ১ লাখ টাকার নিচে অকৃষি জমি ও অন্যান্য কৃষি/ভিটি/নামা ইত্যাদি) জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পৌর কর ও উৎস কর দিতে হবে না। কিন্তু জমি বিক্রির মূল্য ১ লাখ টাকার বেশি হলে, জমিটি অকৃষি হলে সে জমি পৌর এলাকার বাইরে হলেও তার জন্য ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে……………………………………………………………….৫%
রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয়। জমি রেজিস্ট্রি করতে বিক্রীত জমির পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে। দলিলে দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিক ছবি সংযুক্ত করতে হবে। যিনি জমি বিক্রি করবেন তার নামে অবশ্যই নামজারি (মিউটেশন) থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)। বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির ধারাবাহিক ইতিহাস লেখা থাকতে হবে। সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য, সম্পত্তির চারদিকের সীমানা,নকশা দলিলে থাকতে হবে। দাতা কর্তৃক বিক্রীত সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রি করেননি মর্মে হলফনামা থাকতে হবে। জমির পর্চাগুলোতে (সিএস,এসএ,আরএস) মালিকানার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। বায়া দলিল (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) থাকতে হবে।
Banshkali te 8lack taka diye jomi nichi.....otar registration fee koto porte pare?bolben 1tu
ReplyDeleteNice2
ReplyDeleteবায়নানামা রেজিস্ট্রেশন চুক্তিতে ৩মাসের জন্য বায়নানামা করা হয়। কত দিন পর্যন্ত বায়নানামা বলবত থাক।
ReplyDeleteআমাদের গ্রাম বাড়ি জামালপুর সরিষাবাড়ী জমি রেকর্ড করতে কত টাকা লাগবে।
ReplyDelete